সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শামসুল আলম চৌধুরী বলেছেন, সিলেট বিভাগে ৫শ মেগাওয়াটের উপরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। শীত মৌসুমে চাহিদা ৩শ ২০ মেগাওয়াট আর গরমে চাহিদা ৩শ ৫০ মেগাওয়াট। চাহিদা পূরণ করে বাড়তি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। বর্তমান সরকার ৬ বছর থেকে অব্যাহত উৎপাদন ও সংস্কার উন্নয়ন করায় এখন আর লোডশেডিং নেই বললেই চলে। কিছু কিছু ত্র“টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। তবে উন্নয়ন ধারা যেভাবে অব্যাহত আছে, সিলেট বিভাগের মানুষ এর সুফল কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবে।
গতকাল রবিবার সকালে ‘জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ’ উপলক্ষে সিলেট নগরীর বাগবাড়িস্থ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট বিভাগীয় অফিসের মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ, সিলেট-সুনামগঞ্জের সভাপতি মো. শুকুর আহমদ, কার্যকরী সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক সভাপতি প্রসূন প্রতিম দেব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুস্তাকিম, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল বাসিত শেরো, সাধারণ সম্পাদক সুরমান আলী প্রমুখ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, সিলেট বিভাগের সিস্টেম লস অনেক কমেছে। ভবিষ্যতে সিস্টেম লস শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা হবে। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। তাহলে সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ কর্মসূচী সফল করতে সক্ষম হবে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ইয়াসিন আকরাম ইভান ও পপি কর।
এর আগে সকাল ১০টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সম্মুখ থেকে বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিদ্যুৎ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। বিভাগীয় কার্যালয় সম্মুখে ৭ দিনব্যাপী বিদ্যুৎ মেলা ও রক্তদান কর্মসূচীরও উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। বিজ্ঞপ্তি