স্টাফ রিপোর্টার :
‘সন্ত্রাসী শামীম তো শামীমই, সে যুবলীগের কেউই নয়। নিজেকে যুবরাজ বলে বেড়ালেও পাথুরে সন্ত্রাসী হওয়ায় তার নাম হয়ে গেছে পাথুরে শামীম। এই পাথর শামীমের চাঁদাবাজির টাকায় ভাগ পেয়ে আলফু, মাহফুজ, আজমল ও ভুট্টো আজ জিরো থেকে হিরো হয়ে খুন রাহাজানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে সম্মানজনক আইনপেশা ও জনপ্রতিনিধিত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো সব সময় তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ ও বিরোধিতা করে আসছে। এই প্রতিবাদ আন্দোলনের সাথে আমার বাবা-চাচারা যুক্ত ছিলেন। যার কারণে আমার পিতা আব্দুল আলী সম্প্রতি শামীম চক্রের রোষানলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।’
সিলেট প্রেসক্লাবে গতকাল রবিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা নিহত আব্দুল আলীর মেয়ে রচনা বেগম। গত ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন আব্দুল আলী।
লিখিত বক্তব্যে রচনা বলেন, আমার পিতা হত্যার নেপথ্য নায়করা প্রকাশ্যে ঘুরছে। পাশাপাশি পাল্টা মিথ্যে ও সাজানো মামলা দিয়ে আমাদের ও আমার পিতা হত্যাকান্ডের মামলার স্বাক্ষী এবং পক্ষের লোকজনদের হয়রানি করে এ হত্যা মামলার তদন্তে বিঘœ ঘটাচ্ছে। আমার পিতার ঘাতক ও নেপথ্য নায়করা স¤প্রতি তিন মহিলা দিয়ে আমার চাচা আব্দুল হক, সোনা মিয়াসহ আমাদের পক্ষের ৪৫ জনকে আসামী করে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করিয়েছে।
তিনি বলেন, শামীম ওরফে পাথর শামীম তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর খনি ভোলাগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তারা আদালত ও প্রশাসনের আদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে পরিবেশ বিধ্বংসী পাঁচ শতাধিক অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে চলেছে। তাদের এমন বিধ্বংসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার বাবাকে তারা হত্যা করেছে। রচনা বেগম ‘পাথর শামীম’সহ তার পিতা আব্দুল আলীর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং চাঁদাবাজি ও বোমামেশিন বন্ধের দাবি জানান।