মুহাম্মদ আবুল কালাম
একযুগ আগে আমি তোমাকে
গোলাপ দিয়ে বলেছিলাম
অপেক্ষায় থাকবো
তোমার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য
সে যুগ পার হলো অনেক প্রতীক্ষার পর
অবশেষে দাঁড়িয়ে ছিলাম
তোমার হরিণের মতো চোখের
মায়াবী দৃষ্টির জন্য
কোমল হস্তের ছোঁয়া পেয়ে
জীবন ধন্য করার জন্য
প্রতীক্ষার অবসান কাটিয়ে আগামী দিনের
সুখের রাজ্যে বাস করার জন্য
তোমার গোলাপি ঠোঁটের হাসি দ্বারা
অন্তরকে ধন্য করার জন্য
কিন্তু এমন পুরস্কার আমার জন্য তুমি রাখবে
যা কল্পানাতেও ভাবিনি
কারণ দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার নগণ্যত্বকে ভুলে
স্বর্গের তৈরি হীরা দ্বারা মোছা হয়
ধৈর্যের পুরস্কার প্রদানের জন্য
সে ধৈর্যের পুরস্কার আমাকে তুমি
এতো বিশাল ভাবে প্রদান করে
ইতিহাস তৈরি করবে
মনতো দূরে থাকুক স্বপ্নেও ভাবিনী
অবাক করে দিয়েছ আমাকে তোমার পুরস্কার দ্বারা
ধন্য করেছো তোমার স্বহস্তে দান দিয়ে
ভেবে ছিলাম আমার এতো প্রতীক্ষা হয়তো তোমাকে
বিরক্ত করে তুলবে
ভেবে ছিলাম আমার একযুগ আগে দেওয়া
তাজা গোলাপের সাথে এখন তুমিও সূক্ষ্ম হয়ে গেছ
অথচ সব কিছু ভুল করে সব যেন রচনার
কাব্যগ্রন্থের জন্য প্রত্যেকটি মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল
এক একটি বিদায় নেওয়া দিনগুলোতে
হতাসার বিপরীতে লাবণ্যময়ী তিলোত্তমাতে
পরিণিত পরিপূর্ণ রূপ ধারণ করেছে
অপূর্ব অবিশ্বাস্য তোমার অঙ্গ
চোখ ঠোঁট হাসি
আর এক যুগ পর ডাক আমার শুনা মাত্র
তোমার উপস্থিতি
আমার অপেক্ষার ক্লান্তকে
শান্তিতে পরিণত করেছ
স্বপ্নকে দূরে ঠেলে বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে এসেছ
এত কিছু দেখা বুঝার স্বাদ উপলব্ধি
তোমার কাছ থেকে এক যুগ পূর্বের
গোলাপের বিনিময়ের ফলটাই
আমাকে নায়কে পরিণত করেছে
অবিশ্বাস্য তোমার উপহার
অবিস্মরণীয় আমার চাওয়ার ফল
বিশ্বও শুনলে তোমর দেওয়াটাকে
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে গ্রহণ করবে
কে জনতো তুমি আমর জন্যে এত বিশাল
পুরস্কার নিয়ে ১২টি বছর অপেক্ষা করবে
এ আমি গ্রহণ করলাম তোমার উপহার
আমার শেষ দাবি তুমি তোমার ঐ
তিলোত্তমা দেহের পাগলকরা
সেই মিষ্টি হাসিটা আবার দেও
যা দেখে ১২ বছর পূর্বে আমি তোমার জন্য
পাগল হয়ে ছিলাম
আর তোমার পুরস্কারের শর্ত অনুযায়ী আমি তা পালন করবো
কারণ যার জন্য আমার ১২টি বছর আপেক্ষা
তা পেয়েও যদি গ্রহণ না করি
তবে তো আমার একযুগের সাধনা
নিমেষেই জল হয়ে নদীতে গড়াবে
তাই এই আমি তোমার ইচ্ছেমতই
গ্রহণ করে প্রমাণ করলাম
এক যুগ সাধনা করে তোমার কাছ থকো পাওয়া
ভালোবাসার উপহার
গোলাপের বিনিময়ে বিষ।