বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীর সিলেটে রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার এবং মহানগর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কালো পতাকা ও শমসের মুবিন চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ সহ নগরীতে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি সিটি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানা গিয়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মকসুদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে মিলিত হয়। মহানগর বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, শমসের মুবিন চৌধুরী সিলেট বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সিলেট বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ আওয়ামী বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই শমসের মুবিন চৌধুরী বিএনপির হাইকমান্ডকে ভুল তথ্য দিয়ে মহানগর বিএনপি একটি পকেট কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। যারা ১/১১ এর যৌথ বাহিনীর দালাল, বসন্তের কোকিল এবং প্রবাসী হিসেবে পরিচিত। সিলেটের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে এদের ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নেই। তিনি মহানগর বিএনপির কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শমসের মুবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আহ্বায়ক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মকসুদ আলী বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীর ষড়যন্ত্রে সিলেটের বিএনপির নেতাকর্মীরা পা দিবে না। আজ সিলেট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শমসের মুবিন চৌধুরী আহ্বায়ক কমিটিকে নগরীতে কোন কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। তিনি এই অবৈধ কমিটি বাতিল করার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সমাবেশ শেষে শমসের মুবিন চৌধুরীর কুশপুত্তলিকায় ঝাড়– দিয়ে পেটানো ও থুথু নিক্ষেপ করা হয়। শমসের মুবিন চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে ও তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা তারেক আহমদ চৌধুরী, সালেহ আহমদ খসরু, নাজিম উদ্দিন লস্কর, ফয়েজ আহমদ দৌলত, হাজী শওকত আলী, এমরান আহমদ চৌধুরী, আবদুল আহাদ খান জামাল, সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন মুসা, সৈয়দ জয়নুল হক, জাকির হোসেন, কাউন্সিলর সালেহা কবীর শেপী, মঈনুল হক, জসিম উদ্দিন, আরিফ ইকবাল নেহাল, নুরুল মোমিন খোকন, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, কাজী মুহিবুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ, ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর আমেনা বেগম রুমী, কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলী, আসমাউল হুসনা খান, জয়নাল আহমদ রানু, জিয়াউর রহমান দীপন, সাইফুর রহমান বুদুরী, লিয়াকত আলী, কামাল মিয়া, মকবুল হোসেন, আবুল হোসেন, আজমল হোসেন, সুলেমান আহমদ, ইফতেখার আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, শেখ কবির আহমদ, হোসেন আহমদ, এডভোকেট জাফর ইকবাল তারেক, লায়েছ আহমদ, সেলিম আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি