সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের অসহায় আত্মসমর্পণ

45

43.3_44517_0স্পোর্টস ডেস্ক :
বসুন্ধরা সিমেন্ট বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে জিম্বাবুয়ে। ২৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে মাত্র ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ফলে, ৬৮ রানের বড় ব্যাবধানের জয় নিয়ে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল মাশরাফিরা।
২৫২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার মাসাকাদজা এবং সিকান্দার রাজা। তবে, প্রথম ওভারেই মাশরাফি মাসাকাদজাকে বোল্ড করে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্বাগতিকদের।
মাসাকাদজার পরে সিবান্দাকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান মাশরাফি। সিবান্দাকেও বোল্ড করেন দেশ সেরা এ পেসার। রাজা ১৬ রান করে মাহামুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
মাশরাফি একাই ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। ডানহাতি এ পেসার নিজের প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট।
মাশরাফির পর টেইলরকে সাজঘরে ফেরত পাঠান আরাফাত সানি। টেইলর মাহামুদুল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে করেন ৮ রান।
৫০ রানেই প্রথম চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন চাকাবায়া এবং দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা সলোমন মিরে। ৬৫ রানের জুটি গড়ে আল আমিন হোসেনের বলে মাশরাফির অসাধারণ এক ক্যাচে বিদায় নেন ৩২ রান করা চাকাবায়া।
এরপর মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করে সাকিবের বলে আরাফাত সানির হাতে ধরা পড়েন সলোমন মিরে (৫০ রান)।
সাব্বির রহমানের দারুণ এক থ্রোতে ৩৮ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের বোলারদের ভয় দেখানো চিগুম্বুরা। এরপর আরাফাত সানি বোল্ড করে ফেরান তিনাসে পানিয়াঙ্গারাকে। এরপর একই ওভারে তিনি নাইম্বু এবং কামুনগোজিকেও বোল্ড করেন।
সিরিজের লিড বাড়াতে আজকের ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু চিন্তা করেনি মাশরাফি বাহিনী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। স্বাগতিকদের হয়ে ৯.৫ ওভার বল করে ২৯ রানের খরচায় সর্বোচ্চ চার উইকেট পান আরাফাত সানি।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা স্বাগতিক বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ২৫১ রান। ফলে, সিরিজে সমতা আনতে হলে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে করতে হত ২৫২ রান।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক হাঁকিয়ে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮০ রান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক থেকে ২০ রান দূরে থাকতে তিনি ১১০ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিদায় নেন।
এছাড়া আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল করেন ৭৬ রান। বাঁহাতি তামিম আনামুলের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে ৯৮ বলে ৭টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান। মুশফিকুর রহিম ২৭ রান করেন। আর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল হক।
প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের অসাধারণ অলরাউন্ড পারফর্মে ৮৭ রানে জয় পায় টাইগাররা। ফলে, এগিয়ে থেকেই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে মাশরাফি বাহিনী।