ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ এর ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন এই হাসপাতাল শুধু ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আর্তমানবতার কল্যাণে ইবনে সিনা তার জন্ম লগ্ন থেকেই সকল ধরনের রোগীর সেবা দেয়ার পাশা-পাশি গরীব ও অসহায় রোগীদের জন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস্ কর্ণেল (অবঃ) ডাঃ রুকনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ ওবায়দুল হক এর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোদাব্বির হোসেন।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ-এর উদ্যোগে এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল এর সহযোগিতায় কিডনী ও ডায়ালাইসিস রোগীদের খাদ্য তালিকা, চিকিৎসা সেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ নজমুস সাকিব আলোচনায় অংশ নিয়ে কিডনী ও ডায়ালাইসিস বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সিলেটে এই প্রথম ডায়ালাইসিস রোগীদের নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সেমিনার আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে তিনি ধন্যবাদ জানান। রোগীদের কখন ডায়ালাইসিস শুরু করতে হবে, কি পরিমান ডায়ালাইসিস দিতে হবে এ সব বিষয়ে তিনি বিশদ আলোচনা পেশ করেন। রোগীর লাল রক্ত কণিকা কিভাবে কিডনীকে নিয়ন্ত্রিত করে কাজ করবে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইকবাল আহমদ চৌধুরী তার আলোচনায় রোগীদেরকে এ বিষয়ে একটি গাইড লাইন প্রদান করেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ওমর ফারুক হার্টের যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে ডায়ালাইসিস প্রাপ্ত রোগী গণের কিডনী সুরক্ষার যাবতীয় কৌশল আলোচনা করেন। আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস ইনচার্জ ডাঃ মোহাম্মদ রাশেদ মাহমুদ রোগীদের কিডনী ও ডায়ালাইসিস সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুল ধারণা ও বাস্তব মুখী চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত করেন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ শাহনাজ বেগম রোগীদের পুষ্টি ও খাদ্যাভাস সঠিক ভাবে পরিপালনের মাধ্যমে রোগীদের কে পূর্ণাঙ্গ একটি খাদ্য তালিকা প্রদান করেন। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্বারী হেলাল আহমদ এর পবিত্র কোরআন তেলোওয়াতের মাধ্যমে সূচিত সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন, হাসপাতালের ম্যানেজার (এডমিন) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
কিডনী ও ডায়ালাইসিস সেবা একটি ব্যয় বহুল উল্লেখ্য করে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরো বলেন গরীব অসহায় রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা নিশ্চিত করতে এই হাসপাতাল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য রোগীদের কথা বিবেচনা করে ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে সকল রোগীদের জন্য ১০% ছাড় দেয়া হয়েছে।