ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা কর্তৃক ঢাকার সিএমএম আদালতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের ও এই কারণে সমন জারীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে সিলেট জেলা যুবদল।
গতকাল বিকাল ৪টায় আম্বরখানা থেকে বের হওয়া সিলেট জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলটি কোর্ট পয়েন্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশী বাধা মুখে পড়লে, মিছিলটি আম্বরখানা হয়ে সাপ্লাই রোড প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সিলেট জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুনের পরিচালনায় বক্তারা বলেন দেশের সার্বিক অবস্থা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রটি এখন দুর্বৃত্তদের কুশাসনে জর্জরিত। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সরকারি প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়ে দানবে পরিণত করা হয়েছে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য। দেশের নাগরিকদের ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে তারেক রহমানকে হেয় ও বিপর্যস্ত করার জন্য তার বিরুদ্ধে কুৎসা ও মিথ্যা অপপ্রচার করেও যখন কোন লাভ হয়নি তখন মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমন জারী করা এই অবৈধ সরকারের এক গভীর চক্রান্ত। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং তাঁর ওপর আবারোও নির্যাতন জুলুম চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে সমন জারীর ঘটনা এই অবৈধ সরকারের অন্ধ হিংসার ভিন্ন চরিত্রই আরেকবার উন্মোচন হলো।
সমাবেশে যুবদল নেতৃবৃন্দে অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সাজানো মিথ্যা মামলা ও সমন জারী প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। অন্যথায় যুবদলের অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় করা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ খোলা থাকবে না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদিকুর রহমান ছাদিক, জিয়া পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আরিফ আহমেদ মোমতাজ রিফা, মহানগর যুবদল নেতা নজিবুর রহমান নজিব, নিজাম উদ্দীন জায়গীরদার, আলা উদ্দিন আলাই, নাজমুল হোসেন রিপন, আলী আহমদ হীরা, সুলতান আহমদ বাবু, আল মামুন খান, অধ্যাপক মঈন উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন দিলু মেম্বার, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, রায়হান আহমদ, শাহ মাহমুদ আলী, সাহেদ আহমদ, ফারুক হোসেন, এটিএম ফয়েজ, সাইদ আহমদ, কামাল আহমদ, বাবুল সিং, কামাল হোসেন লিলু, নুরুল আলম বাবলু, মকসুদুল করিম নুহেল, মইনুল ইসলাম মঞ্জু, শেখ রায়হান আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, জহুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, শামসুল ইসলাম, আশরাফ বাহার, সুবির আহমদ, আলমগীর আহমদ, জয়নুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, সুরুজ আলী, বাবুল আহমদ বাবু, মাছুম আহমদ, খল্লুল জুতি, আব্দুল মজিদ, সোনাহর আলী সুহেল, জহির মিয়া, মইন উদ্দিন, কাছির উদ্দিন, দেলোয়ার আহমদ, নজির হোসেন, জুয়েল আহমদ মাছুম আহমদ, মোঃ কাচা মিয়া, ইউনুছ হোসেন, আরীফ, তাজুল ইসলাম তাজ, নিশু, বাবুল মিয়া, আব্দুল হক, শুরমান, বদরুল মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আল ইমাম, আবু সাইদ, হাজী সেলিম, ফারুক আহমদ, আতিক রাজা চৌধুরী, কামাল হোসেন বটু, মোস্তফা আহমদ, হেলাল, জুম্মান আহম, আলম, বুরহান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি