কাজিরবাজার ডেস্ক :
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ছিনতাই হওয়া জঙ্গি জেএমবি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান, সালাউদ্দিন সালেহীন ও ঘটনার পরিকল্পনাকারী ফারুক হোসেনের জড়িত থাকার ধারণা করছে ভারতের তদন্ত দল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এনআইএ ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে, তারা ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিক। এ সূত্র ধরেই তারা বাংলাদেশে আসছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই দেশের দেওয়া তালিকার মধ্যেও অনেকটা মিল রয়েছে। উভয় দেশের আসামীদের ছবি বিনিময় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ তদন্ত সমূহের তথ্য অনুযায়ী এই দু-দেশের নাগরিকের বাইরে কারো সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
বিভিন্ন ‘ওপেন সোর্স’ থেকে খালেদা-হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের কথা বললেও এনআইএ এর তথ্যের সঙ্গে এই তথ্যের গরমিল রয়েছে বলে জানান মনিরুল।
এছাড়াও জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদের উদ্দেশ্যে এবং অর্থায়নের সোর্স জানাতে পারেনি এনআইএ।
ভারতে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশি সন্ত্রাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইএ শুধুমাত্র বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে তদন্ত করে, সন্ত্রাসীদের নিয়ে নয়। এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করতে ১৭ নভেম্বর দুপুরে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি ঢাকা এসেছে। পুলিশ সদর দফতরের অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংস্থার উপ-মহাপরিদর্শক সাজেদ ফরিদ।