কুলাউড়া গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে গলাকাটা ফি আদায়

64

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষা বোডের আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে কুলাউড়া পৃথিমপাশার গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণে মাত্রাতিরিক্ত ফি গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির দিগুনেরও বেশ টাকা গ্রহণ করেছেন স্কুল প্রধান শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়. এ বিদ্যালয় এবারে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৩১১০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৩০২০ টাকা নিচ্ছেন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রেরিত ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলীর বিবরণ থেকে জানা যায়, একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষার ফি (প্রতি পত্র) ৬৫ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি (প্রতিপত্র) ৩০টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি (প্রতি শিক্ষার্থী) ৩৫ টাকা, স্কাউট/গালর্স গাইড (প্রতি পরীক্ষার্থী) ১৫টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি (প্রতি পরীক্ষার্থী) ৫ টাকা, সনদপত্র ফি (প্রতি পরীক্ষার্থী) ১০০টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি (প্রতি পরীক্ষার্থী) ১৫ টাকা, উন্নয়ন ফি (প্রতি পরীক্ষার্থী) ৫০ টাকা ও বার্ষিক ক্রীড়া এফিলিয়েশন ফি (বিদ্যালয় প্রতি) ৩০০ টাকা দেওয়ার কথা। অবশ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থী প্রতি ফি বাবদ সর্বোচ্চ ১৪৫০ টাকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের প্রেরিত তথ্যমতে সব মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা নেওয়ার কথা বিদ্যালয়ের। অথচ এ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশী ফি আদায় করছে বলে জানা যায়। তবে স্কুল প্রধান মোঃ তাজুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বুঝিয়েছেন এর মধ্যে ১০০০টাকা কোচিং ফি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হত দরিদ্র অভিভাবক অনুনয়নের সুরে বলেন সন্তানের ফরম পূরণের ফি প্রদানের জন্য ছোট একটি গাছ বিক্রি করে ১০০০ টাকা এবং সুদে ২০০০ টাকা ধার নিয়ে বিদ্যালয়ে জমা দিয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এক টাকাও কম নিতে রাজি নন।
এ ব্যাপারে গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম অতিরিক্ত ফি আদয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা স্কুলের উন্নয়ন ফি বাবত পাঁচ শত টাকাসহ ২ হাজার ২০ টাকা নিচ্ছি।