মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ বলেছেন- ১৯৮৬ সালের ১৭ নভেম্বর আমিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমি চলে যাবার পর মানুষ মরেছে। গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। গত আট মাসে ১৬৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশে ৩শর বেশি মানুষ গুম হয়েছে।
বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং এখনও অকার্যকরই রয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল ৫টায় জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. মাহবুবুল হক শামিম এবং পৌর জতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্মেলন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সোবহান চৌধুরী, এম এ হান্নান এমপি, জিয়াউল হক মির্জা এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন চৌধুরী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, রেজাউল করিম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ আরও বলেন- বিপদ হল বিএনপি আর আপদ হল আওয়ামীলীগ। তিনি আরো বলেন- পাকিস্তান আমলেও শুক্রবার সরকারী ছুটি ছিল না। আমিই শুক্রবার সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছিলাম। সিলেটের জন্য আমি যা করেছি তা আপনারা জানেন। সিলেটকে আমি বিভাগে রূপান্তর করেছি। শেরপুর ফেরীঘাটে ব্রীজ নির্মাণসহ সমগ্র বিভাগের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। বিএনপি সরকারই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করে। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করেছি। শাহজালাল বাবার দোয়া নিয়ে আমি রাজনৈতিক জীবন শুরু করি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মৌলভীবাজারে সম্মেলন নেই, সংগঠন নেই। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। আমি সংগঠিত হয়েছি। জীবনের শেষ প্রান্তে আমাকে আরও একবার সুযোগ দিবেন। আমি চিরকাল বাংলার মানুষকে ভালোবাসব। দেশের শান্তির জন্য এখন জাতীয় পার্টির জাস্টিজ দরকার। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। তরুণ-যুবকরা ঝুঁকে পড়ছে ইয়াবা-ফেনসিডিল সেবনে। এই তরুণ-যুবকদের সু-পথে ফেরাতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে জাতীয় পাটির ১৫১টি আসনের দরকার। সেই হিসাবে সবাইকে প্রস্তুতির আহবান জানান তিনি।