জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর মুক্ত দিবস পালন নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। গতকাল ১১ নভেম্বর এক অংশের মুক্তিযোদ্ধারা জগন্নাথপুর মুক্ত দিবস পালন করলেও আরেক অংশ করেননি।
জানা গেছে, এক অংশের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে জগন্নাথপুর মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের কোম্পানী কমান্ডার, সাবেক জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রসরাজ বৈদ্য, সাইদুর রহমান সুবেদার, গৌরাঙ্গ গোপ, কৌশিক দাস, ইলিয়াছ আলী, আব্দুল্লা খান দাস তালুকদার, বকুল ভট্টাচার্য্য, গৌছ আলী, কাইয়ূম শাহ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র কুমার দেব ও সহিদ আলী।
সভায় বক্তরা বলেন, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন সময়ের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ হোসাইনের নেতৃত্বে জগন্নাথপুর শত্র“ মুক্ত হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর থেকে ১১ নভেম্বর জগন্নাথপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত বছর সাবেক জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল কাদির শিকদার ৯ ডিসেম্বর দিবসটি পালন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। তিনি জগন্নাথপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। যাহা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষালম্বন করার শামিল। তাছাড়া ২৪৭ জন রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। যা ইতোপূর্বে তদন্ত করা হয়েছে। আমাদের জীবনের শেষ চাওয়া হচ্ছে, মৃত্যুর আগে এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চাই।