ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে উদ্বেগ

4

 

কাজির বাজার ডেস্ক

দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দেশবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার চার মাসের অন্তঃসত্ত¡া নারীকে (২০) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) ভুক্তভোগী ওই নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (২০) ও জিৎ সরকার (১৯)।
উল্লেখ্য, শনিবার (৮ মার্চ) রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে পানগাঁও ঋষিপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই নারীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়।
মাগুরার যৌন নিপীড়নের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত আছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। কৃত্রিম উপায়ে চলছে তার শ্বাস-প্রশ্বাস। শিশুটির মামা গণমাধ্যমকে রবিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তার সর্বশেষ শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে গতকাল সকালে সেই শিশুকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দেখতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে ঘটনাটি ঘটে। বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন তার মা। ঘটনার দিন অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়।
শিশুটির মামা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে শিশুটিকে দেখতে অসংখ্য মানুষ আইসিইউতে ভিড় করায় শিশুটির সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ : মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিচার আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এদিন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান।
পরে আদালত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন আট বছরের ওই শিশু। গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুর থাকতেন।
বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর হিঠু শেখ। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি।
রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ৬টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যান।
আরো বলা হয়, ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তার মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে তার স্বামী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাসুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি অন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে বলে চিকিৎসকদের জানান। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে যান।
এদিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশক্রমে ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুয়ায়ী শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিনে ধর্ষণের বিচার করতে হবে : আইন উপদেষ্টা : ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা কাজ করছি, কিভাবে ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রæত করা যায়। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ার অজুহাতে আসামিকে জামিন দেওয়া যাবে না।
প্রশাসনের কোনো গাফলতি থাকলে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধান আইনে যুক্ত করা হবে।’
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পাবেন না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় ৩০ দিনের পরিবর্তে এখন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে। নারী সহিংসতা প্রতিরোধে এসব সিদ্ধান্তের আলোকে কয়েকদিনের মধ্যেই আইন সংশোধন করা হবে।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ সার্টিফিকেট লাগত।
অনেক এলাকায় ডিএনএ নেওয়ার সুবিধা নেই। শুধু ভিকটিম না অভিযুক্তেরও একটি সার্টিফিকেট লাগত। এজন্য মামলায় দেরি হয়ে যেত, আমরা সংশোধন আনব। শুধু উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটই যথেষ্ট তাহলে সে ব্যবস্থা তিনি নিতে পারেন। মাগুরার মতো অনেক ঘটনাতেই আসামিরা হাতেনাতে ধরা পরে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ রোধ করতে এই পরিবর্তনটা আমরা আনার চেষ্টা করছি।’
আইন উপদেষ্টা জানান, প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে ব্যবস্থা নেবে অন্তর্র্বতী সরকার।
তিনি জানান, রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি রুখতে একটি হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি আরো বলেন, ‘এটি হবে টোল ফ্রি। এটি তদারকি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ডেডিকেটেড সেল থাকবে। ধর্ষণ মামলার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ও একটি সেল করবে।’ নারীর প্রতি সহিংসতা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুবিচার হবে। ধর্ষণ বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আইন সংশোধনের বিষয়টি আলোচনা করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে একটা ফল পাওয়া যাবে।’
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘ধর্ষণ রোধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করা হবে। যে ইস্যুগুলো আছে যেমন মব জাস্টিস, জঙ্গি ইস্যু সামনে আসতে পারে, এগুলো আমরা মনিটর করার চিন্তা করছি। মিডিয়া কিভাবে ফোকাস করবে, আমরা তাদের সাথে বসব। বসে এমনভাবে পরিকল্পনা করার চেষ্টা করব যাতে জনগণ সঠিক তথ্য পায়।’
ধর্ষণের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সরকারের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা : সরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি (শূন্য সহনশীলতা) অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাগুরার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত, তাদের সবাইকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার।
একইভাবে যদি দেশের কোথাও নারীর প্রতি কোনো সহিংসতা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।
আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এযাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রæত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি। সম্প্রতি ঘটে যাওযা ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘেœ ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবেন।
এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি মিছিল বের করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে সেটি পÐ হয়ে যায় ও তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সরকার এ বিষয়েও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। কোনোভাবেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর রয়েছে।’
যৌন নিপীড়ন মোকাবেলায় চালু হচ্ছে হটলাইন : যৌন নিপীড়ন মোকাবেলায় অন্তর্র্বতী সরকার হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রবিবার (৯ মার্চ) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমি জানাচ্ছি যে, রাস্তাঘাটে যে যৌন নিপীড়ন হয়, হয়রানি হয়- এই ব্যাপারে প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রæত একটা আলাদা হটলাইন প্রদান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (নম্বর) জানিয়ে দেওয়া হবে; রাস্তাঘাটে যেকোনো ঘটনা ঘটলে হটলাইনে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এটা তদারিক করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ডেডিকেটেড সেল থাকবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকি করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়েরও আলাদা একটা সেল থাকবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।