স্টাফ রিপোর্টার
তাবলীগ জামাত সিলেট জেলার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় শত শত তাবলীগ জামায়াতের সদস্যরা জিকির সহকারে উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, দাওয়াত ও তাবলীগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বরাজনৈতিক ও পারিপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় একশ বছর অগে ভারতের নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (র.) এ মেহনত শুরু করেন। বর্তমানেও উক্ত নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ মসজিদ হতে বিশ্ব আমীর আবার মাওলানা সাদ কান্দলবী (দা.বা.) এর মাধ্যমে এটি সমগ্র বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রমাগত প্রচার-প্রসার করছে। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যাঁরা অনুসরণ করছেন তাঁরাই আসল তাবলীগওয়ালা।
সাওয়াত ও তাবলীগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সাদ (দা.বা.) সম্পর্কে দেওবন্দ মাদ্রাসাকে উদ্ধৃত করে মাংলানা জুবায়ের পন্থীগণ এবং তাদের প্ররোচনায় কিছু আলেম অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। প্রকৃত বিষয় হলো ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার কিছু ব্যক্তির সাথে উনার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে দেওবন্দ মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্ণধার বিশ্ব বরেণ্য আলেম হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা.বা.) গত ফেব্রæয়ারি ‘২৪ মাসে বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে গিয়েছেন। তাবলীগওয়ালাদের মসজিদে আমাল বন্ধ করার জন্য যারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা ইসলাম দরদি নয় বরং সন্ত্রাসী।
এ সময় সিলেট জেলার দাওয়াত ও তাবলীগের সাথীগণের পক্ষ থেকে দুটি বিষয়ে জানান।
দাবিগুলো- কোনরূপ যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দাওয়াত ও তাবলীগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সাদ (দা.বা.) বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। বিগত ৭ বছর যাবৎ আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে উনার মূল্যবান বক্তব্য শুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি অথ তিনি ইতোপূর্বে বিশ্ব ইজতেমার প্রধান বক্তা ছিলেন এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। তিনি বাধাহীনভাবে সরা বিশ্বে তাবলীগের কাজে ছফর করে চলেছেন। তাই এবছর যাতে আমাদের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দা.বা) অবশ্যই বাংলাদেশে আসতে পারেন সেজন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি। ২, বিগত ৭ বছর যাবৎ মাওলানা জুবায়েরপন্থীগণ আমাদের মূলধারার সাথীদের মসজিদে দাওয়াতের কাজ বন্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে মারপিঠ, হত্যা ও জুলুম-নির্যাতন এবং কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা ইসলামি শরিয়ত, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার স্বার্থে দেশের সকল মসজিদে রাধাহীনভাবে তাবলীগের কাজ পরিচালিত হওয়ার ব্যাপারে সুষ্পষ্ট আদেশ জারির জন্যও দাবী জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার রফিক উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুল ফুদিহ, মোঃ তাজ উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে শত শত তাবলীগ জামায়াতের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।