স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর চালিবন্দরস্থ স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর পরিবার এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক দাবি করলেও স্ত্রীর পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বুধবার সকালে নগরীর চালিবন্দরস্থ বাসা থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া রুবেল আহমদ (৩০) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের আবদুল মজিদের ছেলে। সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী রাজনা বেগম (২৬)। স্থানীয় লোকজন জানান, রুবেল আহমদ নিজেকে হিজড়া পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে তিনি নগরীতে হিজড়া দলের সাথে ঘুরতেন। তবে রুবেল নিজেকে হিজড়া পরিচয় দিলেও তার দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
রুবেল আহমদের মা জানান, কয়েকদিন ধরে রাজনা জ্বরে ভুগছিলেন। সকালে উঠান ঝাড় দিতে গিয়ে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি হাতে-পায়ে তেল মালিশ করে দেন। অবস্থার অবনতি হলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তাকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে রাজনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। এসময় স্বামী রুবেল আহমদ কান্নাকাটি শুরু করেন। একপর্যায়ে রুবেলও অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজনা বেগমের পিতা আবদুল আলী বলেন, তার মেয়ে সুস্থ ছিলেন। ৩-৪ দিন আগেও পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও কোন বিরোধ ছিল না। রাজনার পিতার দাবি, পারিবারিক কোন বিরোধে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির জানান, দুইজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।