আফজাল হোসেন রুমেল, বড়লেখা
বড়লেখায় কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী দেনমোহর প্রদানে রাজি না হওয়ার জেরে ছেলের হাতে খুন হলেন বৃদ্ধ পিতা মামুন মিয়া (৭০)। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির পূর্ব-হাতলিয়া (কলাজুরা) গ্রামে। রাতেই পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পরই ঘাতক ছেলে নোমান আহমদ (৩০) পালিয়েছে। তবে, পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ছেলের হাতে পিতা খুনের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, নিহত মামুন মিয়ার পাঁচ ছেলের মধ্যে নোমান আহমদ দ্বিতীয়। নোমানের সাথে সুজানগর ইউনিয়নের এক মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কনেপক্ষ ৮ লাখ টাকা দেনমোহন দাবি করেন। পাত্র নোমানের বাবাসহ পরিবারের লোকজন ৪ লাখ টাকা দেনমোহর দিতে সম্মত হলে কনেপক্ষ তা নাকচ করে দেয়। লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়েতে কেন রাজি হননি। এর জেরে নোমান আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে পরিবারের সদস্যদের উপর আক্রমন চালায়। একপর্যায়ে সে কুড়াল দিয়ে বাবা মামুন মিয়ার মাথায় ও গলায় আঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই ঘাতক ছেলে নোমান আহমদ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতের বড় ছেলে জাকির হোসেন জানান, নোমানের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। মেয়ে পক্ষ ৮ লাখ টাকা দেনমোহর চাইলে আমরা এত টাকা দেনমোহর দিতে রাজি হইনি। ৪ লাখ টাকা দেনমোহর দিতে রাজি হলে মেয়েপক্ষ তা নাকচ করে দেয়। এরপরই নোমান আহমদ রোববার রাতে আমাদের পরিবারের সবার উপর আক্রমণ চালায়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সে তার বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ূম জানান, পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে নোমান হোসেনকে গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।