বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিমসহ সকল রাজবন্দিদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিলেট মহানগর শাখার অন্তর্গত ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ-র্যাব, বিজিবি’র প্রধানদের জনগণের উপর গুলির হুমকি শুধু আইন পরিপস্থি ও এখতিয়ার বহির্ভূত ই নয়, তারা তাদের স্বীয় বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে চরম আস্থাহীনতার সংকটে ফেলেছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাহিনী প্রধানদের ঔদ্বত্ত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমতা চাওয়ার আহবান জানান ও অবিলম্বে স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করার জোর দাবী জানিয়ে বাহিনী গুলোর প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন জাতি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সারা দেশের শান্তিপূর্ণ অবরোধকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার লক্ষ্যে অবৈধ সরকার নিজস্ব এজেন্ট দ্বারা চলন্ত যানবাহনে পেট্রোল বোমা, ককটেল বিস্ফোরন করে প্রকৃত আসামীদের আড়াল করতে চলমান আন্দোলনের সক্রিয় নেতা কর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা দায়ের, বাসা বাড়ীতে তল্লাসীর নামে দমন পীড়ন করে আন্দোলনের গতি পথকে রুদ্ধ করছে, যা দেশের সার্বিক স্থিতাবস্থকে অস্থিতিশীলতার দিকে টেলে দিচ্ছে। অবৈধ সরকারের সহযোগি হাতিয়ার হিসাবে আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের ন্যায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অতি উৎসাহি সদস্য বেপরোয়া আচরণ করছে। জনগণের সেন্টিমেন্ট কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিরোধী মতামত দমনের নামে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের উপর গুলি, হামলা মামলা, তল্লাসীর নামে বাসা বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম অসদাচরণ করছে অতি উৎসাহি আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু সদস্য, যা নাগরিকের ন্যূনতম সামাজিক আত্মমর্যাদার অধিকারকে খর্ব করে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের স্মরণ রাখতে হবে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন ভোগি হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ফল শুভ হয় না। অবৈধ সরকারের লেজুড়বৃত্তিকারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বের প্রতি ওয়াকিবহাল হয়ে নিজস্ব বৃত্ত থেকে কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আহমদ চৌধুরী ফয়েজ, মাহফুজুল করিম জেহিন, এখলাছুর রহমান মুন্না, জিয়াউল হক জিয়াসহ গ্রেফতার কৃত সকল নেতা কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী এবং সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুল জব্বার তুতু, ছাত্রদল নেতা লোকমান আহমদ, লিটন আহমদ, রুবেল আহমদসহ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বাসা বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তল্লাসীর নামে হয়রানীর তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিদাতা গণ হলেন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট বদরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সফরাজ আহমদ চৌধুরী, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এবিএম ছাদেক জুনেদ, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী মোঃ ইসরাইল মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আবু নসর বকুল, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক জিয়াউল হক জিয়া, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী মাছুম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আমির হোসন, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিল এডভোকে সালেহ আহমদ, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউদ্দিন বাদশা, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সাব্বির আহমদ বাচ্চু, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মুমিন, ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ফয়েজ আহমদ দৌলত, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক বাবুল ইঞ্জিনিয়ার, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান আতা, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট আক্তার হোসেন খান, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ইমরান হোসেন চৌধুরী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সফিক আহমদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ বাবুল হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রানা, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সত্তার মামুন, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউর রহমান লয়লু। বিজ্ঞপ্তি