বড়লেখায় পানচাষী হত্যার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

2

বড়লেখা সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত থেকে নিয়ে আসা চোরাই গরু উদ্ধারে সহযোগিতা ও বিজিবিকে হস্তান্তর করায় শাজাহান আহমদ (৩০) নামে এক পানচাষীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের ভাই ইব্রাহিম আলীর সিআর মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে থানার ওসি বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন।
গত ৮ আগস্ট সকালে সীমান্তবর্তী একটি টিলা থেকে শাহজান আহমদের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তিনি দুই সন্তানের জনক ও উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল গ্রামের ষাটঘরি এলাকার মৃত ইছমাইল আলীর ছেলে। তখন থানা পুলিশ কর্মস্থলে না থাকায় ইউএনও’র নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই স্বজনরা তার লাশ দাফন করেন।
এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত শাজাহান আহমদ পান চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। পক্ষান্তরে সীমান্তবর্তী বোবারথল এলাকার আব্দুল বাছিত, রুবেল আহমদ, সেলিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সুনাম উদ্দিন, ছাদিক আহমদ, কুতুব উদ্দিন প্রমুখ চোরাচালান কারবারী, বিভিন্ন হত্যা ও ডাকাতির সাথে জড়িত ও বিভিন্ন মামলার আসামী। আসামীগণ ইতিপূর্বে নিহত শাজাহান আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিম আলীর পালিত দুইটি গরু জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এলাকায় বিচার প্রার্থী হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
অপরদিকে প্রায় ৪ মাস পূর্বে আসামীরা ভারত হতে দু’টি গরু চুরি করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় লোকজন এবং ভারতের লোকদের শাজাহান আহমদ (ভিকটিম) দেখে ফেলে। শাজাহান আহমদ স্থানীয়দের নিয়ে আসামীদের নিকট থেকে চোরাই গরুগুলো উদ্ধার করে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেন। এই আক্রোশে পরিকল্পিতভাবে আসামীরা ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে যে কোনো সময় দেশে উদ্ভুদ চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শাজাহান আহমদকে হত্যা করে পানপুঞ্জির দক্ষিণ পাশের টিলার নির্জন স্থানে ফেলে রাখে। ৮ আগস্ট শাজাহানের গলাকাটা ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, আদালতের নির্দেশে নিহত শাজাহান আহমদের ভাইয়ের দাযের করা হত্যা মামলাটি থানায় রেকর্ড করে বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এফআইআর প্রেরণ করেছে।