বারবার অভিযান চালিয়েও এ টিলা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন ও থানা পুলিশ। নির্বিচারে টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তােলনেরে ফলে ‘মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা। টিলার পাড় ধসে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এবার সেই টিলা রক্ষায় যান চলাচলের সবকটি পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত ‘বন্দীত্ব করে টিলার ধ্বংসাবশেষ রক্ষার চেষ্টা করছেন ইউএনও ও ওসি।
এতে টিলার সঙ্গে সরাসরি পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। তখন টিলার অন্তত ধ্বংসাবশেষ রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল রবিবার বেলা ৩টায় শাহ আরফিন টিলার ৩টি প্রবেশ পথ বন্ধের জন্য পিলার নিমার্ণ কাজে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু।
এর আগে গত বছর এই টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে টিলার ভূমিধসে একসঙ্গে ছয়জন পাথরশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে টিলায় যান চলাচলের তিনটি পথে পিলার নির্মাণ করে যানচলা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই পিলার ডিঙিয়ে নতুন রাস্তা করে পাথর পরিবহনের ট্রাক চলাচল করছে নিয়মিত।
স্থানীয়রা জানান, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় এই উপজেলার সকল শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা শাহ আরফিন টিলা উপর নির্ভরশীল। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ হলে উপজেলায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য জানান, শাহ আরফিন টিলায় কোনভাবেই অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে দেয়া না। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বল তিনি জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু বলেন, শাহ আরফিন টিলায় অবৈধভাবে করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনায় এড়াতে টিলার প্রবেশপথ গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টিলায় কাউকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। (খবর সংবাদদাতার)