হিজাব ও ইসলামিক পোষাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষকের অপসারণ দাবীতে বিক্ষোভ

2

কাজির বাজার ডেস্ক

হিজাব ও ইসলামিক পোষাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্নার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া জান্নাত আরা পান্নার বিরুদ্ধে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গত রবিবার ১৮ আগষ্ট একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে অপসারণেরও দাবী তোলেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, জান্নাত আরা পান্না বারবার হিজাব এবং ইসলামী পোষাকের পাশাপাশি ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এগুলি ইসলামী মুল্যবোধ এবং অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের বিশ্বাসের জন্য আপত্তিকর। স্মারকলিপিতে- কলেজে সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্না সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার মিনুর বোন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিয়মিত কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। তাছাড়া কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাকে পাওয়া যায় না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ ছাত্রীদের শালীন পোশাক পড়তে উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে জান্নাত আরা পান্না হিজাব ও পোষাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেন। কেউ হিজাব পড়ে ক্লাসে আসলে অপমানজনক কথাবার্তা বলেন তিনি। এতোদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। সম্প্রতি দেশের পট পরিবর্তনের পর একে একে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী সোচ্চার হচ্ছেন। গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ (অফিসিয়াল) নামের একটি ফেইসবুক গ্রæপে শিক্ষার্থীরা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্নার বিরুদ্ধে নানা ধরণের লেখা লিখেছেন।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্নার বিরুদ্ধে এর আগে ধর্ম বিরোধী নানা অভিযোগ এসেছে বলে স্বীকার করেছেন গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তবে এবার শিক্ষার্থীরা জোরেসোরে অভিযোগ করছে, পাশাপাশি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে রয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা এবিষয়ে সুন্দর একটি সমাধানে আসতে পারবো বলে আশাবাদী।
অপরদিকে, সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কলেজ ইউনিফর্মের সাথে নির্ধারিত বোরকা ব্যতিত বিভিন্ন কালারের বোরকা ও নেকাব পরার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে ক্লাসে কথা বলেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ভিন্নভাবে নিয়েছে। তিনি বলেন, কলেজ থেকে তাকে এখনো কোন ধরণের শোকজ করা হয়নি, হলে তিনি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন।