স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ভবনে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে এসপি অফিসের কার্যক্রম। ৫ আগস্ট আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া এসপি অফিস সংস্কারের পর সব কার্যক্রম শুরু হবে। আপাতত পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ কয়েকটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে পুলিশ লাইন্সের একটি ভবনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. সম্রাট তালুকদার।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, সরকারি ও প্রশাসনিক বিভিন্ন অফিস, মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা হয় সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয় (এসপি) অফিসের। অগ্নিকাÐে পুলিশে ছাই হয়ে যায় কার্যালয় ভবনের পুরো চার তলার সব কক্ষের কাগজ-ফাইল ও জিনিসপত্র। অফিস প্রাঙ্গণে থাকা পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাহীনতায় সকল পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওই সময় কার্যালয় ছেড়ে চলে যান। পুরো বিধ্বস্ত এ কার্যালয় মেরামত করে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট দুপুরে এসপি অফিসে গিয়ে দেখা যায়- সকল কক্ষের পুড়ে ছাই হওয়া আবর্জনা সরাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রাঙ্গণে পড়ে রয়েছে ৩-৪টি গাড়ির পুড়া কঙ্কাল। নেই ৪ তলা ভবনের বেশিরভাগ কক্ষের দরজা-জানালা। কোনো আসবাব-পত্র অক্ষত নেই। ফাইল-পত্র ভষ্ম। ৫ আগস্ট বিকেলে আগুন লাগানো হয়েছিলো এসপি অফিসে, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যালয়টির বিভিন্ন কক্ষ থেকে আগুনের ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পরদিন ৬ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে ধোঁয়া উঠা কক্ষগুলোতে পানি নিক্ষেপ করে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান (বিপিএম-বার) বলেন- আমাদের কার্যালয়ে যেভাবে ধ্বংসযজজ্ঞ চালানো হয়েছে- মেরামত করে সবকিছু ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। ইতোমধ্যে মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন- কার্যালয়ের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কোনো ফাইল-পত্র বাঁচেনি। মাসখানেক সময়ের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসপি আব্দুল মান্নান।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. সম্রাট তালুকদার বলেন- জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ভবনে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি জরুরি সেবা দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে। কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক করা মূল কার্যালয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সম্ভব নয়।