তাহিরপুর প্রতিনিধি
দু’দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে আবারও প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল। শুক্রবার সকালে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এই এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাওরের প্রবল ঢেউয়ে অনেক বসতভিটার মাটি ও গাছপালা ভেঙে গেছে।
বৌলাই নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়ে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চিকসা ও হোসেনপুর গ্রামের গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি হাওরের দিকে প্রবেশ করছে। এতে রাস্তাঘাটের ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তুজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, এ বছর বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় মানুষের জীবন-জীবিকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাটে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এলাকার দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জেলেরা হাওরে মাছ ধরতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে পড়ছেন বিপাকে।
বন্যার সময়ে এ পর্যন্ত তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে জিআরের ৯ টন চাল ব্যতীত আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা দেওয়া হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্য।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ধুতমা গ্রামের দিনমজুর আসিক মিয়া বলেন, বন্যার কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়েছে। হাওরের ঢেউয়ে বসতভিটা ভেঙে গেছে। চোখে অন্ধকার দেখছি। ভাটি জামালগড় গ্রামের আমিরুল মিয়া বলেন, পরিবারে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে সাতজনের সংসারে খুবই কষ্টে আছি। বন্যার কারণে আয়-রোজগার একেবারেই কমে গেছে। বন্যায় কোনো ত্রাণসহায়তা তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম বলেন, বন্যায় এ পর্যন্ত উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে দুই দফায় ১৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।