কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। রবিবার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, গত ১৭ জুন থেকে উপজেলার অধিকাংশসহ পৌরসভার বড় একটি অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে রাবেয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজে ২টি এবং পরবর্তীতে সী-বার্ড কেজি স্কুল ও বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এতে ১১৯টি পরিবারের ৪০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়াও পৌর এলাকার আরও ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। একটানা ২১ দিন থেকে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মেয়র বলেন, বন্যায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও গোবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
একটানা দীর্ঘদিন পানিবন্দি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতদিন যাচ্ছে এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। সরকারের খাদ্য সহায়তা ও পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রসহ পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি থাকার পরও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুমান করা যাচ্ছে, এটি আরও দীর্ঘায়িত হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কুলাউড়া পৌরসভা বন্যায় ব্যাপক আক্রান্ত হলেও অনেকেই কুলাউড়া পৌরসভার নামটি পর্যন্ত নেন না।
মেয়র আরও বলেন, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বুড়িকিয়ারিতে একটি বাঁধ নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছর বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এ অবস্থায় বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা পুনরায় প্রদান করাসহ তা বৃদ্ধি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, অন্যান্য অবকাঠামো মেরামতসহ পুনর্র্নিমাণ ও বন্যা-জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।