আসন স্বপ্লতার কারণে ॥ কমলগঞ্জে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনিশ্চিত !

52

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কলেজসমূহে আসন স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে। আবেদন এর পর কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় সহ  অন্যান্য কলেজে অনেক শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায়। কিন্তু আসন স্বল্পতার কারণে কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এদিকে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত প্রায়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বিজ্ঞপ্তিতে ১১ জুলাই হতে আবেদনের পুনরায় সুযোগ দিলেও  কলেজগুলোতে আসন স্বল্পতা দেখা দেওয়ার কারণে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের রাজেশ কৈরি, তাসলিমা বেগম, পদ্মছড়া চা বাগানের মাসুম মিয়া, লোকমান মিয়া, বিকাস কৈরি, মদনমোহনপুর চা বাগানের জাফরান আলী, লিটন রায়, ছয়ছিড়ি গ্রামের মহসিন আলী, লিটন মিয়া, বনগাঁও গ্রামের মাসুম আহমেদ, লোকমান মিয়া, পাত্রখোলা চা বাগানের ভানুলালসহ অনেক শিক্ষার্থী জানান, সময়মত অনলাইনে আবেদন করেন কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে। কিন্তু আসন স্বল্পতার থাকার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিচ্ছেন না। নিম্ন আয়ের পরিবারের দূরপ¬াল্লার শিক্ষার্থী অন্য কলেজে সুযোগ পেলে সেখানে ভর্তি হচ্ছে না। কারণ কাছের কলেজ কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় তাদের জন্য সুবিধা।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান মিঞা জানান, কলেজে আসন স্বল্পতা রয়েছে এজন্য ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সিলেট বোর্ডে বিজ্ঞানে ১০০, মানবিকে ৫০ ও বানিজ্য বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। যদি বোর্ড আসন বৃদ্ধির অনুমতি দেয় তাহলে পুনরায় ভর্তি নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আসন বৃদ্ধি করা না হলে এ এলাকার চা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়বে। কমলগঞ্জের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে। কাছের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলে তাদের সন্তানদের ভবিষৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে সে আশংকায় । তাদের পড়াশুনা কি থেমে যাবে ?