দক্ষিণ সুরমায় টাকা ও মোবাইল ছিনতাই, আটক ২

2

শাবি সংবাদদাতা

নগরীর দক্ষিণ সুরমায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রী। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে খোঁজারখলা কাজির বাজার ব্রিজসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান।
আটককৃতরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের মো. আলা উদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদ রকি (১৯) ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের পুরানদিঘলী গ্রামের আব্দুর নূরের ছেলে আলী নূর (২২)।
ছিনতাইয়ের শিকার নবনীতা কর্মকার (২৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছিনতাই ঘটনার পর তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামি দক্ষিণ সুরমার খোঁজারখলার আব্দুর হান্নানের ছেলে শিপলু আহমদ (৩০) পলাতক রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইয়ের শিকার ওই ছাত্রী বরিশাল থেকে বাসযোগে ভোর পাঁচ টায় দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। এর আধাঘণ্টা পর স্ট্যান্ড থেকে অটোরিক্সাযোগে বাসায় ফেরার পথে খোঁজারখোলা পয়েন্টে পৌঁছামাত্রই তিনজন ছিনতাইকারী অটোরিক্সাটি আটক করে। এসময় ছুরির ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। তখন তিনি তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুধু ছিনতাইকারীদেরকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু এর মধ্যে একজন ছিনতাইকারী ছুরি দিয়ে ছাত্রীর কাঁধে ঝুলানো ভ্যানিটি ব্যাগের ফিতা কেটে নিয়ে যায়। ওই ছাত্রী পুনরায় কাগজপত্র ফেরত চাইলে একজন ছিনতাইকারী ছুরি দিয়ে তাঁকে আঘাত করার চেষ্টা করে। তবে গাঁয়ে তার আঘাত লাগেনি। ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে একজনকে আটক করেন। এসময় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামীকে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ আরেক ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
ছিনতাইয়ের শিকার নবনীতা কর্মকার বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর আমি প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে। বাকি একজন আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে নভেম্বরে বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের এক ছাত্রী।