সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নারীদের উৎসাহীত করতে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, নারীদের উন্নয়নের বাইরে রেখে কখনো প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সমাজের সবাইকে সঙ্গে করেই আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। বাঙালির অনেক উৎসবের মতোই পিঠা উৎসব সুপ্রাচীন কালের। নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠার পরিচিতি তুলে ধরতে এ উৎসব সুদুরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় সিলেট পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ২দিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়ের সভাপতিত্বে ও রোহেনা দিপু এবং সুমন্ত গুপ্তের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডিজিএম শামিমা নার্গিস, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, জেলা পরিষদের সদস্য সুষমা সুলতানা রুহি, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালমা বাসিত।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি লুবানা ইয়াসমিন, পরিচালক নাসরিন বেগম, বিউটি বর্মন, রাহেলা জেরিন খানম, তপতি দাস, তাসনিম আক্তার, রাবেয়া আক্তার রিয়া ছাড়াও সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সদস্যবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ওয়াহিদা আখলাক, সৃজনশীল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে শান্তনা দেবী, তরুণ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রোজিনা আক্তার, ২০২১ সালের শ্রেষ্ট জয়িতা হওয়ায় লুবানা ইয়াসমিন শম্পা ও সানজিদা খানমকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। মেলায় শ্রেষ্ঠ স্টল হিসেবে নির্বাচিত হন রোমানা আক্তার এবং সর্বোচ্চ বিক্রয় হিসেবে অরেঞ্জ মার্টকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি