৫২ ধরণের ভারতীয় ওষুধ অত্যন্ত নিম্নমানের

1

কাজির বাজার ডেস্ক

মসলার পর এবার ভারতীয় ওষুধ নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় চলছে। নিন্মমানের ওষুধ সরবরাহ করছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। তাই এ নিয়ে দেশে দেশে সতর্ককতা জারি করা হয়েছে। এর আগে করোনার ভাইরাসের টিকা নিয়ে এমন প্রতারণার অভিযোগ উঠে। তারপর সেই টিকা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এদিকে নিয়মিত ব্যবহৃত হয় ভারতের এমন ৫২টি ওষুধ অত্যন্ত নিম্নমানের। তাই দেশটির সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সতর্কতা জারি করেছে। কারণ প্যারাসিটামলসহ অন্তত ৫০টি ওষুধের মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্যারাসিটামল, প্যান্টোপ্রাজল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্যে ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে।
ওষুধগুলোর মধ্যে থেকে ২২টি ভারতের হিমাচলপ্রদেশ রাজ্যে তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছে সিডিএসসিও। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল জয়পুর, হায়দরাবাদ, ওয়াঘোড়িয়া এবং গুজরাটের ভাদোদরা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইন্দোর থেকেও। সূত্রের খবর, যে যে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করেছে তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সাথে, যে ওষুধগুলোর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা বাজারে ছড়িয়ে থাকলে তা দ্রæত তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০ জুন একটি সতর্কতা জারি করে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। সতর্কতা অনুসারে, মোট ৫২টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করেছিল সিডিএসসিও।
এসব ওষুধের তালিকায় রয়েছে- ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট, যা খিঁচুনি এবং উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, ব্যথা উপশমকারী ডাইক্লোফেনাক, অ্যান্টি-হাইপারটেনশন ড্রাগ টেলমিসার্টন, অ্যামব্রোক্সল, যা শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, ফ্লুকোনাজোল, একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং কিছু মাল্টিভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। সূত্র : জি নিউজ