স্টাফ রিপোর্টার :
সদ্য গঠিত বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি মিঠুন চৌধুরীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার। পাশাপাশি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আশিক ঘোষ অসিতেরও সন্ধান চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানান মিঠুন চৌধুরীর স্ত্রী সুমনা চৌধুরী সীমা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমনা চৌধুরী বলেন, তার স্বামী মিঠুন চৌধুরী ও সহকর্মী আশিক ঘোষ অসিতকে গত ২৭ অক্টোবর রাত ১২ টা ১০ মিনিটে সূত্রাপুর থানার পরাশগঞ্জস্থ প্রিয় বল্লব জিউর মন্দির গেইট লেবুপট্টি মার্কেটের সামনে থেকে একটি কালো গাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে আটক করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের খোঁজে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় গিয়ে যোগাযোগ করলেও কেউ কোনো সন্ধান দিচ্ছে না। এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় জিডি করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা তাকে জানান, কাউন্টার টেরোরিজম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জিডি নেওয়া সম্ভব নয়। স্বামী নিখোঁজের পর থেকে তিনি এবং তার দুই সন্তান নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বিগ্নতায় দিন কাটাচ্ছেন। অপরদিকে অসিতের পরিবারও উদ্বিগ্ন রয়েছে।
সুমনা চৌধুরী বলেন, তার স্বামী মিঠুন চৌধুরী দৈনিক বাংলার মুক্তাঙ্গন নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ হিন্দু-বৈৗদ্ধ-খ্রীস্টান আদিবাসী পার্টি নামে তিনি একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি) নামে একটি দল গঠন করেন। দলের সভাপতি ও মুখপাত্র হিসেবে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা থেকে থাকে তাহলে অবশ্য আইনিভাবে তা মোকাবেলা করবেন। কিন্তু তিনি জানেন না কি অভিযোগে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো কিছু প্রকাশও করা হচ্ছে না। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তার শাশুড়ি ও গ্রামের লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় ভোগছেন। তিনিও তার স্কুল পড়–য়া দুই সন্তানকে নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুমনা চৌধুরী তার স্বামী মিঠুন চৌধুরী ও আশিক ঘোষ অসিতকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে তার পুত্র কৃষ্ণ রঞ্জন চৌধুরী, মেয়ে ঐশ্বরিয়া চৌধুরী, বিজেপির বিভাগীয় সমন্বয়কারী স্বপন বর্মন, সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহ, আবু মো. খালেদ ও নমী বর্মন উপস্থিত ছিলেন।