বজ্রপাতে মৃত্যু রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি

19

 

গণমাধ্যমে এখন প্রায়ই সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে দেশে বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর। এ সংখ্যা দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছি না। দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদদের মতে, বজ্রপাত বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ। এ ছাড়া নদী বা জলাভ‚মি শুকিয়ে গেলে এবং গাছপালা ধ্বংস হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ধরনের আবহাওয়া বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাল, নারকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নেয়। আগে গ্রামগঞ্জে এ ধরনের গাছ বেশি ছিল। ফলে বজ্রপাত হলেও মানুষ বেঁচে যেত। কিন্তু এখন এসব গাছের বড়ই অভাব। এ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে এখন মুঠোফোন থাকছে। অধিকাংশ এলাকায় মুঠোফোন ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার রয়েছে। কৃষিতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। বজ্রপাত রোধ করতে আমাদের গাছ লাগাতে হবে। বিশেষ করে তালগাছ। দ্রæত লম্বা হয় এমন বড় গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
বজ্রপাত সম্পর্কে গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে মানুষকে সচেতন করতে পারলে এ দুর্যোগ থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যাবে। জনসচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন এনজিও এগিয়ে আসতে পারে। সরকার বজ্রপাতের আগাম সংকেত দেওয়াসহ প্রযুক্তিনির্ভর আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা চাই, এসব পদক্ষেপ দ্রæত বাস্তবায়ন করা হোক। কিছুদিন আগে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম মাঠে কাজ করা কৃষকের জীবন রক্ষায় তিনটি পরামর্শ দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে পারলে অনেক মানুষ বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।