কাজির বাজার ডেস্ক
উৎসব মুখর পরিবেশে সিলেট থেকে শুরু হলো হিফজুল কুরআন বিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রæপ’র দ্বিতীয় আসরের বাছাই পর্ব। এতে অংশ নিয়েছে সিলেট বিভাগের পাঁচ শতাধিক হাফেজ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রæপের সহযোগিতায় এ আয়োজনে দেশসেরা অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী পবিত্র কুরআনের হাফেজদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হবে। শুক্রবার সকাল ৮টায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া (কাজির বাজার মাদরাসা) প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হয়। তার আগে থেকে খুদে হাফেজদের মিলনমেলায় পরিণত হয় মাদরাসা প্রাঙ্গণ। পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ জন ইয়েলো কার্ড পান। তাদের মধ্যে থেকে সেরা ১০ প্রতিযোগী বাছাই চলছে। তারা ঢাকায় চ‚ড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। সিলেট পর্বের প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুসল্লি কমিটির সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মানিক ও সদস্য ইমতিয়াজ চৌধুরী মিজান, কুরআনের নূর প্রতিযোগিতার প্রধান সমন্বয়কারী হায়দার আলী ও সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান শ্রাবণ। কুরআনের নূর প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা আবু সাদিক তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘সিলেটে যত প্রতিযোগিতা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতায়। বিভাগের প্রতিটি জেলার শতাধিক মাদ্রাসা থেকে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছে।’ এ রকম প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় বসুন্ধরা গ্রæপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবু সাদিক তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রæপ কুরআনকে নিয়ে এমন বৃহৎ একটি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। গত বছর থেকে শুরু হয়েছে। এ বছর আরো উন্নত ও বড় পরিসরে আয়োজন করেছেন তারা। এবার আন্তর্জাতিকভাবে করা হয়েছে। এজন্য বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা। এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থী বা প্রতিযোগীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যেও আগ্রহ, উদ্দীপনা বেড়েছে।
টিভিতে দেখানোর কারণে আরো অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানদের এরকম প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করতে আগ্রহী হচ্ছেন।’
ঢাকা বিভাগের উত্তর-দক্ষিণ দুটি জোনসহ পুরো দেশের মোট ১১ জোন (অঞ্চল) থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। ১১ জোনের মধ্যে সিলেট অডিশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭ লাখ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ টাকা, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার ২ লাখ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অধিকারীরা প্রত্যেকে পাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার। সেই সঙ্গে তারা সবাই সম্মাননা পাবে। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবে বাবা-মা ও ওস্তাদসহ পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ।