কাজির বাজার ডেস্ক
দেশে নারী বেকারত্বের হার কমলেও বেড়েছে যুব বেকারত্ব। সম্প্রতি প্রকাশিত শ্রমশক্তি সমীক্ষার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যুব বেকারত্বের হার। যা জাতীয় স্তরে মোট বেকারত্বের হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৯ বয়সি মানুষ আছে ২ কোটি ৬৮ লাখ। এরমধ্যে ২১.৫ লাখ মানুষ বা ৮ শতাংই বেকার। অথচ জাতীয় ভাবে মোট বেকারত্বের হার ৩.৫৩ শতাংশ।
অর্থাৎ মোট বেকারত্বের হারের তুলনায় যুব বেকারত্বের হার দ্বিগুণেরও বেশি। এ ক্ষেত্রে উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ৮ শতাংশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রায় ২৭.৮ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সমমানের ডিগ্রিধারী। এরপর বাকি ২৩.৮ শতাংশ মাধ্যমিক পাস এবং ১৯.৭শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক পাস। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বেকার যুবকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থাৎ ৭০.৯ শতাংশ গ্রামাঞ্চল থেকে এসেছে, বাকিরা শহরাঞ্চলের।
মূলত যুব শ্রমশক্তির মোট সংখ্যার তুলনায় বেকার যুবকদের অনুপাত হিসাব করে যুব বেকারত্বের হার প্রকাশিত হয়। সে হিসেবে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে আনুমানিক ২৫.৮ লাখ বেকার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষের বেকারের সংখ্যা ১৬.৬ লাখ এবং নারী বেকারের সংখ্যা ৯.লাখ। এদের মধ্যে ১৬.৭ লাখ মানুষের বয়স ১৫-২৪ এবং ৮.৯ লাখ মানুষের বয়স ২৫ বছর বা তার বেশি। যাদের মধ্যে গ্রামীণ এলাকার বাস করেন ১৮.১ লাখ মানুষ এবং শহরের বাস করেন ৭.৭ লাখ।
এদিকে জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হারের প্রায় সমান নারীর বেকারত্বের হার। ২০২২ সালে সমীক্ষায় অনুযায়ী বর্তমানে নারী বেকারত্বের হার ৩.৫৯ শতাংশ। যেখানে পুরুষদের বেকারত্বের হার ৩.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় মাত্র ০.৯ শতাংশ বেশি। এছাড়াও ১০ বছরের ব্যবধানে নারী বেকারত্বের হার কমেছে ৩ শতাংশের ও বেশি। সে হিসেবে ১০ বছরে অর্ধেকে নেমেছে নারীদের বেকারত্ব।