কাজিরবাজার ডেস্ক :
সর্বস্তরের মানুষের বিপুল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচ টি ইমামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও ঢাকার গুলশানে দুই দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এইচ টি ইমাম বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সোনতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারযোগে তার মৃতদেহ নেয়া হয়। বেলা ১২টায় উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে এইচ টি ইমামের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
উল্লাপাড়ায় নামাজ শেষে হেলিকপ্টারে মরদেহ ঢাকার নিয়ে আসা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার লাশ আনা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কফিনে প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমোডর এমএম নাঈম রহমান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে এইচ টি ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এইচ টি ইমাম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ২০০৯ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।