শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার থেকে
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গুজাউড়া বরকত নগর টু মহব্বতপুর বাজার হয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বরকতনগর এলাকায় কালভার্টের সø্যাব ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বরকতনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এলাকার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইকে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বিশেষ করে রাতে কালভার্ট দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কমবেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইউনিয়নের গুজাউড়া বরকত নগর যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বরকত নগর এলাকায় নির্মিত কালভার্টটির মাঝের অংশের ঢালাই প্রায় এক বছর আগে ভেংগে গেছে সাইডে ভেঙে রড বের হয়ে পড়েছে। এতে ছোটবড় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মোটরসাইকেলসহ অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানান। এতে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কালভার্টটি ঠিক না করা হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিন কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি পাকা করনসহ কালভার্ট মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডির দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
গুজাউড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান দৈনিক কাজিরবাজারকে জানান, গুজাউড়া বরকত নগর টু মহব্বতপুর রাস্তার তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি অল্প বৃষ্টি হলেই হাটু কাদায় পরিণত হয়। কাদা হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজারে যেতে পারেনা। উক্ত রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিশুরা প্রাইমারি স্কুলে যাতায়াত করে। কাদাযুক্ত রাস্তার কারণে অনেকেই পিছলে পড়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
বরকত নগর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য সফিকুল ইসলাম দৈনিক কাজিরবাজারকে জানান, আমাদের গ্রামে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। নির্বাচন এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা রাস্তাটি পাকা করণের প্রতিশ্রæতি দেন। নির্বাচন শেষ হলেই রাস্তাটির কথা সকলেই ভুলে যান। তিন কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি পাকা করনসহ কালভার্ট মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডির দৃষ্টি কামনা করেন।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বলেন, খুব শ্রীগ্রই কালভার্ট ভেঙে নতুন করে করা হবে ইনশাআল্লাহ তবে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কোন সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে অনেক আগেই জন দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে পাকা করনের উদ্যোগ নেয়া হতো। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডির হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই জনপ্রতিনিধি।