হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। অনেকে আহত হয়েও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন না। তারা বিভিন্ন ফার্মেসি ও পল্লিচিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অনেক নিজেদের মোবাইল ফোন পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেন, আমরা বারবার কারাবরণ করছি। আমাদের এখন আর কারাগারের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। মিথ্যা মামলা, হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। বিভিন্ন উপজেলায় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। আহত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। যারা হামলা, ভাঙচুর করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ।
শনিবার (১৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। শুরু থেকে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপির তিন নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে তিন বিএনপি নেতাকে সিলেটে এবং রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে ওসিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বিকেলে দুপক্ষ পৌরশহরের শায়েস্তানগরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষে জড়ায়।