স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তিকারি জনৈক কয়ছর আহমদের সাথে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্ট মালিক পক্ষের ব্যবসায়িক কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ঝুনু চৌধুরী বলেন, গত ১৩ মে রেস্টুরেন্টে কতিপয় দুর্বৃত্তের হামলার কারণ হিসেবে গণমাধ্যমে ওই ব্যক্তির রেস্টুরেন্ট মালিকানায় সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝুনু চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে ১২জন পরিচালকের উদ্যোগে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ১০জন পরিচালক রয়েছে। তাদের কারো সাথে জনৈক কয়ছর আহমদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে বলে আমাদের জানা নেই।
এমডি ঝুনু চৌধুরী বলেন, শুরু থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ভোজন বাড়ি কর্তৃপক্ষ। ভোক্তাদের কাছে রেস্টুরেন্টটির জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন একদল দুর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে ১৩ মে রবিবার বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে স্বশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় রেস্টুরেন্ট আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিদিন এ রেস্টুরেন্টে নানা পেশার, নানা মতের মানুষের সম্মিলন ঘটে। দেশি-বিদেশি পর্যটক সিলেটে আসেন। সকাল-সন্ধ্যা অসংখ্য পর্যটক ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে খেতে আসেন। হামলার সময় রেস্টুরেন্টে অনেক গ্রাহক ছিলেন। আকষ্মিক হামলায় তারা অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছেন। এ ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
ঝুনু চৌধুরী বলেন, ১৩ মে‘র ঘটনা সিলেটের ব্যবসা-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে প্রবাসী বিনিয়োগের যে সম্ভাবনা রয়েছে, এই হামলার কারণে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা বিমুখ হতে পারেন বলে আমরা আশংকা করছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, হামলা ঘটনায় আমরা ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। যার নাম্বার- ৯০৭, তারিখ- ১৩/০৫/২০১৮।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে হামলার কারণ হিসেবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জনৈক কয়ছর আহমদের ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের সাথে সংশ্লিষ্টতা’ রয়েছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওই ব্যক্তির কটুক্তির সূত্র ধরে হামলা হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ তথ্য ঠিক নয়। জনৈক কয়ছর আহমদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক কোন সম্পর্ক নেই।
ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের এমডি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য কোন রাজনৈতিক মত-পথের নয়। তাই, সূচনালগ্ন থেকে কোনপ্রকার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি সিলেটের ব্যবসায়িক স্বার্থে সাংবাদিকদের সত্য ঘটনা তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অবগতির স্বার্থে রেস্টুরেন্টের পরিচালকদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক এটিএম শোয়েব, মো. তোরাব আলী, মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মো. লিলু মিয়া, শিপন দেব, শাহ কয়েস আহমদ চৌধুরী।