আজমিরীগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফুটবল খেলায় সংঘর্ষে সেলিম মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকেও আসামী করা হয়েছে। সোমবার সকালে নিহত সেলিম মিয়ার বড় ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে সেলিম মিয়ার লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলে শরীফ নগর ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন, পৌরসভার শরীফ নগর (নতুনবাড়ী) গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার পুত্র এবায়দুর রহমান রাসেল (৪৩), আশিকুর রহমান পায়েল (৪০), আজিজুর রহমান জুয়েল (৩৮), রফি মিয়া (৩২), সাইফুর রহমান জয় (২৮), মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার পুত্র, অলিউ নবী ডন (৪১), আশিফুল নবী রনি (৩৫), রকি মিয়া (৩২), রমি মিয়া (২৮), তফি মিয়া (২৫), মৃত আনু মিয়ার পুত্র মহিদুর মিয়া (৩৩), মৃত আব্দুল শহীদের পুত্র রাহী মিয়া (৩৫), মৃত মরম আলীর পুত্র আলী হাফেজ (৩৪) এবং আজিমনগর গ্রামের লুদন মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (৩৫)।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাসুক আলী জানান, সোমবার নিহত সেলিম মিয়ার ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বিকালে আজমিরীগঞ্জ গরুর বাজার মাঠে একটি ফুটবল টুর্ণামেন্ট চলছিলো। টুর্ণামেন্ট শেষে দর্শকরা উল্লাস করার সময় সেলিম মিয়ার সাথে শরীফ নগর (নতুন বাড়ী) বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে আশিফুল নবী রনির সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রনি উত্তেজিত হয়ে সেলিম মিয়াকে মারপিট করে।
বিষয়টি সেলিম মিয়া তার বড় দুই ভাইকে জানালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সেলিম মিয়াসহ তার দুই ভাই নবী হোসেন (৪৮) এবং দেলোয়ার মিয়া (৩৮) গুরুতর আহত হন।
গুরুতর অবস্থায় সেলিম মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।