মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কমলগঞ্জে আউশ ধান রোপণের সময় শেষ পর্যায়ে চলে এলেও পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে মাঠ। জমি প্রস্তুত না হওয়ায় বীজতলাতেই নষ্ট হচ্ছে ধানের চারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও অনেক কষ্ট করে সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। তবে সময়মতো চারা রোপণ করতে না পারায় ফাঁকা পড়ে আছে জমি। গত কয়েক দিনে যে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, তাতে তীব্র খরার প্রভাব কাটানো সম্ভব নয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ২৮৮ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় চলে গেলেও মাত্র ২৫১ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হলে আউশের আবাদ ব্যাহত হবে।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক বেলাল আহমদ জানান, সেচ দিয়ে তিন একর জমির বীজতলা তৈরি করেছিলেন। পানির অভাবে এখনও জমিতে চারা রোপণ করতে পারেননি। চারাগুলোর বয়স পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। লাঙল দিয়ে জমিতে থাকা মাটি ভাঙা হলেও তা আবার শুকিয়ে গেছে। উপজেলার শমশেরনগর, মুন্সিবাজার, পতনঊষার ও রহিমপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা মেশিনের সাহায্যে জমি প্রথম ধাপের হালচাষ করে রেখেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র খরায় এসব জমি আবার শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের বীজতলায় রাখা ধানের চারাগাছ অতিরিক্ত বয়স হওয়ার কারণে লালচে হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন সেচ দিয়ে জমি চারা রোপণের উপযুক্ত করে তোলার জন্য।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, বৃষ্টির অভাবে আউশ আবাদ ব্যাহত ও কৃষকের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সময়মতো আউশ ধান চাষ করতে না পারলে আমন চাষেও এর প্রভাব পড়বে। এতে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।