কাজির বাজার ডেস্ক
দেশে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কোরবানির যোগ্য পশু আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন খামার পরিদর্শন শেষে সাদেক এগ্রো লিমিটেডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ‘গত ঈদুল আজহার চাইতে বেশি কোরবানির যোগ্য পশু এবার প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত খামারি ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কোরবানির যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। সুতরাং এবার দেশের বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন হবে না। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন বাইরে থেকে কোনো পশু না প্রবেশ করে।’
সচিব বলেন, ‘গত বছর কোরবানির যোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। কিন্তু গত বছর ঈদুল আজহায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার কোরবানি বাড়লেও পশুর সংকট হবে না।’
বিভিন্ন উপায়ে দেশের বাইরে থেকে পশু দেশে ঢুকছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ‘আমরা নিজেরা যেহেতু চোরাচালান বা সীমান্তের বিষয়টা দেখি না। অন্য মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠান দেখে। তাই আমরা চেষ্টা করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রæটি নেই। এমনকি দেশের বাইরে থেকে যেন মাংস ঢুকতে না পারে সেদিকেও নজরদারি রয়েছে।’
খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশুবিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সে জন্য জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর-৯৯৯ যুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন সচিব। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলেও সেটিও আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চ‚ড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
পশুখাদ্যের দাম কমানোর বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘ইতোমধ্যে পশুখাদ্যের দাম কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দাম অনেকটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দুই-তিন মাস পর থেকে খাদ্যেদ্রব্যের দাম আরও কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।’
খামার থেকে কেনা পশুর জন্য হাসিলমুক্ত রাখার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির অনুরোধ জানান বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন সচিব। আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।