স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বাদ পড়াদের মধ্যে এক মেয়র ও সাত কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের কাছে তারা আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান।
তবে আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি দুই মেয়র প্রার্থী ও দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। মঙ্গলবার দিনব্যাপী সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিলের এই শুনানি হয়। আজ বৃহস্পতিবার ১ জুন পর্যন্ত সিলেটে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। কাল শুক্রবার ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হবে। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হলেন মোঃ শাহজাহান মিয়া। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলী সরকার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তাহমিনা বেগম এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কামরুন নাহার চৌধুরী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ফখরুল ইসলাম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাব উদ্দীন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব এবং পরিচালক স্থানীয় সরকার) জাকারিয়া বলেন, আপিল করা প্রার্থীদের মধ্যে দুজন মেয়র প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর হয়েছে। এর বাইরে সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে আরও দুই প্রার্থীর আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। বাকি আট প্রার্থীর আপিল মঞ্জুর হয়েছে। তাদের নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
মনোনয়ন বাতিল হয়েছে যাদের তারা হলেন- মেয়র পদে দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান ও মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ২ নম্বর ওয়ার্ডের জুমানা আক্তার জুঁই ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আয়শা বেগম। তবে আপিলে সাধারণ কাউন্সিলরের সবাই তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। সিলেটে মেয়র পদে ১১ জন ও ৪২ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৭৬ জন মনোনয়পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে ২৫ জুন মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে ৫ মেয়র প্রার্থী ও ১১ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। আগামী আজ বৃহস্পতিবার ১ জুন পর্যন্ত সিলেটে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।