স্টাফ রিপোর্টার
প্রতীক বরাদ্দের আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেছে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। বুধবার সকাল থেকে মহানগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচানলনা করে তারা। মনোনয়ন দাখিলের আগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে নিজেদের সমর্থনে টানানো সকল ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণের কথা থাকলেও কোনো পদের কোনো প্রার্থীই নিজ উদ্যোগে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণ করেননি। মহানগরের বেশিরভাগ স্থানে এখনও রয়ে গেছে প্রার্থীদের সমর্থনে টানানো ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন। তাই প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচন অফিস নিজ দায়িত্বেই তা অপসারণ করছে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের সিলেটভিউ-কে জানা, নির্দেশনা ছিলো- মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন (২৩ মে)-এর মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে নিজেদের সমর্থনে টানানো সকল ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণ করে ফেলবেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডগুলো নিজ উদ্যোগে অপসরাণ করতে আমরা বার বার প্রার্থীদের বলে আসছি। সকল প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় আমাদের কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন যে- তারা নিজ উদ্যোগে এগুলো সরাবেন। এছাড়াও মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মাইকিং করে প্রার্থীদের সতর্ক করেছি। এরপরও অনেকেই তা করেন নি। তাই প্রতীক বরাদ্দের আগে বুধবার (৩১ মে) সকাল ১০টা থেকে মহানগরীর সবকটি ওয়ার্ডে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেছে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। এর আগে গত ৫ মে কিছু ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়।
আগামী ২১ জুন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি নির্বাচন। গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেন প্রার্থীরা। সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো ২৩ মে।
যাচাই-বাছাই আপিল ও শুনানির পর সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চ‚ড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৭ জন মেয়র এবং ৩৭২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাদের মধ্যে একজন মেয়র, ৪২ ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।