স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর লালাদিঘিতে পড়ে দুই কন্য শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের বয়স ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে। তাদের একজন ওই এলাকার দিনমজুর সেলিম মিয়ার মেয়ে তাইবা (৭)। অপরজনের নাম হাবিবা (৭)। সে একই এলাকার মামুন মিয়ার মেয়ে।
রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তারা বাসা থেকে বের হয়েছিল। এরপর তাদের আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজনজন।
বিকেল ৫টার দিকে দিঘির পানিতে এক শিশুকে ভেসে থাকতে দেখে লোকজন জড়ো হন। তখন স্থানীয় এক যুবক গোসল করতে গিয়েছিলেন। তিনিই তাদের লাশ উদ্ধার করেন। তবে তখনো তিনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারের সময় তাদের শরীর স্পন্দনহীন ছিল। মা বাবা ঘরে নিয়ে বসে কাঁদছিলেন। এরপর এলাকাবাসী শিশুদের লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাদের পরিবারের সদস্যদের বরাতে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কিভাবে তারা দিঘিতে নেমেছে তখন কেউ জানেনা। ধারনা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় শিশুদের একজন হয়ত খেলতে খেলতে পানিতে পড়ে যেতে পারে। আর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে হয়ত অপরজনও ডুবে যায়।
কোতোয়ালী থানার লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাশেদ ফজল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ঘাটের দেয়াল উঁচু হওয়ায় হয়ত বাচ্চারা উঠে আসতে পারেনি। তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এদিকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা লালাদিঘিরপাড় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সবাই হতবিহŸল হয়ে পড়েছেন। লাশ ওসমানীতেই আছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।