জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করা হয়। যা জাতির স্থপতির স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণেও যুগান্তকারী অবদান রাখবে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার তার উন্নয়ন দশকের নিরন্তর অভিযাত্রা পার করে নতুন কর্মপরিকল্পনায় আধুনিক বাংলাদেশ তৈরির হরেক রকম পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় দেশ এখন ক্রমাগতই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। কৃষি থেকে শুরু করে যাবতীয় শিল্প খাতের অভাবনীয় সাফল্য আজ নজরকাড়া। আন্তর্জাতিক সীমানায় তার বহুল স্বীকৃতিও মিলেছে। সঙ্গত কারণেই উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব স্বীকৃত।
চলতি বছর উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। অনুষ্ঠান, উৎসব এবং আড়ম্বর ব্যতিরেকে গ্রহণ করা হয়েছে শুধু উন্নয়নের গতিধারা। সেটা জনগোষ্ঠীর পাঁচটি নাগরিক ও মৌলিক অধিকারকে কেন্দ্র করেই। আশ্রয়ণ প্রকল্পে সাধারণ জনগণের জন্য আবাসস্থল নির্মাণের শতভাগ কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। খাদ্যে আজ আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিশ্ব বাজারেও আমাদের কৃষিজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। সমতাভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে এবং বিশ্ব পরিসরে ৪৮তম আসনে। স্বাস্থ্য সেবায়ও আমরা বিভিন্ন স্তরে সাফল্য অর্জন করেছি। সেখানে শিশু মৃত্যুর হার নিচের দিকে এবং গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় যাবতীয় কার্যক্রমও নিরন্তর গতি পাচ্ছে। সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুত প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি বছরেই এই জনবান্ধব, বিরাট ও মহৎ প্রকল্প জনগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে আলো দেয়ার কর্মযোগে এগিয়ে চলেছে, যা এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে। ৯৭ ভাগ কার্যক্রম স্বপ্নের দুয়ারে। বাকি ৩ ভাগও তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে। উন্নত যান্ত্রিক কলাকৌশলকে এগিয়ে নিতে গেলে নিয়মিত বিদ্যুত সরবরাহ সব থেকে বেশি জরুরী। দেশের গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবাকে ত্বরান্বিত করতে বিদ্যুত সংযোগ অপরিহার্য। তাই শুধু বাসা-বাড়িতে নয়, বিভিন্ন জনমুখী প্রতিষ্ঠানেও তা সম্প্রসারিত করতে যা যা প্রাসঙ্গিক সবটাই এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট সেবায় ব্যাংকিং কর্মযোগকেও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষও এই প্রকল্পের আওতাধীন থাকতে পারে। গ্রাম আর শহরের বৈষম্য দূর করতে বিদ্যুতে সম্প্রসারিত গতি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেয়ার মহতী উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে। আধুনিক ও নতুন গতি প্রবাহে বিদ্যুতকে অবাধ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থাও সফলতার সঙ্গে তার কর্মযোগ অব্যাহত রেখেছে। কোন কারণে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বিকল্প লাইনে তা সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষেই এর সুফল মানুষের স্বপ্নের দরজায় কড়া নাড়বে। ঘরে ঘরে আলো জ্বালানো থেকে শুরু করে সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুত দেয়া ছাড়াও ইন্টারনেট সেবায় বিদ্যুতের অব্যাহত গতিধারাকে সম্পৃক্ত করে একটি উন্নত ও স্বপ্নের বাংলাদেশ উপহার দেয়াই বর্তমান সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য।