স্মরণ ॥ মুক্তিযোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদির বিপ্লবী চেতনার এক স্ফুলিঙ্গের নাম

89

M A Muktadirশাহাব উদ্দিন

আমাদের যৌবনের নায়ক ছিলেন। সুরমা নদীর দক্ষিণ পার থেকে উঠে আসা এক বোহেমিয়ান বিপ্লবী আমাদের মনযোগ আকর্ষণ করেছিলেন তাঁর আদর্শিক বলিষ্ঠতা, অমিত তেজ উদ্দামতা দিয়ে। সদ্য স্বাধীন দেশে সমাজ পরিবর্তনের লড়াইকে বুকে ধারণ করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে রাজপথে যিনি জীবনের রঙ খুঁজে পেয়েছিলেন, সেই ম.আ. মুক্তাদির আমাদের কাছে এক চেতনার নাম। বেদনার নিঃশ্বাসে উচ্চারিত এক নাম- আজীবন আপোষহীন সংগ্রামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদির।
১৯৯৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে। ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অগ্রজ লোকমান আহমদের (জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সিলেট জেলা জাসদ সভাপতি) নির্দেশে নিজেই লিখবো ভাবছিলাম। ম. আ. মুকতাদিরের আরেক সতীর্থ বন্ধু সাংবাদিক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকনের পরামর্শে লিখার ভাবনাটি বদলে যায়। আমাদের জানা তথ্যমতে সুরমা পারের ম. আ. মুক্তাদির তাঁর কৈশোরে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন  অগ্রজ মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হকের হাত ধরে। এক সময়ের তুখোড় রাজনীতিবিদ রফিকুল হকও আজ জীবনের বেলা ভূমিতে। সিদ্ধান্ত হলো, রফিকুল হকের  সাথে আলোচনা করেই লিখাটি সাজাবো। শ্রদ্ধেয় রফিকুল হক আজ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাসদ নেতা।
রফিকুল হক ম. আ. মুক্তাদির প্রতিবেশী এবং অগ্রজ হওয়ার কারণে ছোট বেলা থেকেই তিনি মুক্তাদির ভাইকে সাথে সাথে রাখতেন। রফিকুল হক জানান, ম. আ. মুক্তাদির কৈশোরেই চঞ্চল ও সাহসী ছিলেন। ফুটবল খেলায় পারদর্শিতা ছিল। তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রফিক ভাই একজোড়া বুট কিনে দিয়েছিলেন। রফিকুল হক নিজেও ফুটবল খেলতেন। ম. আ. মুক্তাদির ফরোয়ার্ডে খুব ভালো খেলতেন। একসাথে বহু টিমে খেলে সুনাম অর্জন করেন। রাজা জি. সি. হাইস্কুলের ক্যাপ্টেন হিসেবে রফিক ভাই তখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ফুটবল দলের। ৩/৪ বছর জুনিয়র হিসেবে মুক্তাদির ভাইও তার সাথে সাথে ছিলেন। মুক্তাদির ভাই রাজা স্কুলে দাপটের সাথে খেলাধূলা ও লেখাপড়া চালিয়ে যান। ১৯৬৭-৬৮ সালে ‘দেশ ও কৃষ্টি’র আন্দোলনে মুক্তাদির ভাইয়ের  সংগ্রামী জীবন শুরু হয়।  ১৯৬৮ সালে তিনি এস. এস. সি. পাশ করলে রফিক ভাই তাকে মদন মোহন কলেজে ভর্তি করান। ম. আ. মুক্তাদির মদন মোহন কলেজে প্রথম চালু হওয়া বিজ্ঞান শাখায় প্রথম ছাত্র ছিলেন। এ সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন।
রফিক ভাইয়ের সাথে তার উঠাবসা ছিল সব সময়। ১৯৭০ সালে  এইচ. এস. সি. পাস করে এম. সি. কলেজে ভর্তি হন ম. আ. মুক্তাদির। ইতিমধ্যে তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সংগ্রামী চেতনার কাজকর্ম, পোস্টার ও দেয়ালে লিখন দিয়ে ম. আ. মুক্তাদির সকলের মনযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ‘৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, ‘৭০ সালের নির্বাচনের সময়েও বিভিন্ন মিছিলে সক্রিয় অংশ গ্রহণ ছিলো ম. আ. মুক্তাদিরের।
রফিকুল হক জানান,  ‘৭১ সালের উত্তাল দিনগুলোতে মুক্তাদির ছিলো আমার নিত্যসঙ্গী। ‘৬৯-৭০ সালে মদন মোহন কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতাদের সাথে সিলেটের বিভিন্ন জায়াগায় যাই। পথসভা সহ সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের সময় মুক্তাদির ছিলো আমার নিত্য সঙ্গী।  ‘৭১ সালের ২৬ মার্চ রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে লাঠি মিছিল বের করার গৃহীত জেলার বিরাট কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে আমি মুক্তাদিরকে সাথে নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। রফিকুল হক বলেন, দক্ষিণ সুরমার নেতা হাজী রশিদ উল্লা, ইসমাইল মিয়া সহ আমরা দাউদপুর, হিলালপুর সহ দক্ষিণ সুরমা সংগঠিত করে রাত ২টায় আমার ঘরে শুয়ে পড়ি। কারণ সকাল ৬টায় উঠে আমাদের বেরিয়ে যেতে হবে। সেই সময় যোগাযোগের অভাবের কারণে শহরে কি হচ্ছে আমরা কিছুই জানতাম না। নেতাদের কথা মতো সকাল ৬টায় বের হয়ে লাঠি মিছিলের কাজে যাচ্ছি। তখন কদমতলী বাসস্ট্যান্ডের এদিকে থেকে বারী মিয়া দৌড়ে এসে বলেন, এই তোমরা কই যাও। জান না, কারফিউ হয়েছে। মিলিটারী সমস্ত শহর দখল করে আছে। তখন আমি ও মুক্তাদির নেতাদের খোঁজে বের হই।
মানুষ ফজরের নামাজে যাচ্ছেন। ঝালোপাড়ার সামনে কিছু চামড়া ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করি। দেখতে পাই সার্কিট হাউস থেকে একটি আর্মির জীপ কীন ব্রীজে উঠছে। তখন আমরা প্রাণ ভয়ে দৌড়ে এসে তাহির বক্সের বাড়িতে আশ্রয় নেই। যখন আমরা দেখি আর্মি আমাদেরকে খুঁজতেছে, তখন আমরা চৌকির নিচে আশ্রয় নেই। আমাদের অনেক খুঁজে না পেয়ে লোকদের চড়-থাপ্পড় মেরে চলে গেলে আমরা কাপড় বদলিয়ে গ্রামের দিকে হেঁটে বের হই। খোজারখলার তরী ভাইর বাড়িতে এসে নেতাদের খুঁজি। তারপর চান্দাই আনা মিয়ার বাড়িতে এসে দেওয়ান ফরিদ গাজী, ইসমত চৌধুরী, এবং আঃ মুনিম (তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক)-কে পাই। সেখানে গাজী সাহেব নির্দেশ দিলেন মুনিম ভাই, আমি, মুক্তাদির, তিনজন লাতু বর্ডারের আনছার কমান্ডার মছব্বির মিয়াকে নিয়ে বি.এস.এফ.’র সাথে আলাপ করি। অনুরোধ করি, বর্ডার খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করার  জন্য। পাক সেনারা তখন হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে, সমস্ত মানুষ মেরে ফেলছে, নেতার নির্দেশানুযায়ী মুনিম ভাইকে নিয়ে যাই। বি.এস.এফ. এর সাথে আলাপ করে কোন ভাবেই বুঝাতে পারলাম না। তারা বললো, এম. এন. এ. কে নিয়ে আসার জন্য। পরে আমরা আবার সিলেটে এসে গাজী সাহেব এবং ইসমত ভাইকে নিয়ে ২৮ মার্চ বর্ডারে গিয়ে তাদের পরিচয় (এম. এন. এ.) করিয়ে দেই। সে সময় ম. আ. মুক্তাদির আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। বি. এস. এফ. অফিসার সহ উনারা করিমগঞ্জে হাই অফিসিয়ালদের সাথে মিটিং করার পর সব বর্ডার খুলে দেয়া হয়। এরপর আমি মুক্তাদিরকে নিয়ে আবার কদমতলীতে ফিরে আসি। মানুষকে সহযোগিতা দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা ছিল আমাদের লক্ষ্য। একাত্তরের যোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদিরের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, আমরা যখন জহির বক্স এর বাড়িতে থেকে প্রতিরোধের কাজ করছিলাম, তখন পাঞ্জাবীরা আমাদের উপস্থিতি জেনে জহির বক্সের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। আমরা প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাই। এদিন থেকে মুক্তাদির ও আমি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। তারপর আমি ভারতে গিয়ে নেতাদের সাথে দেখা করে দেরাদুনে বি.এল.এফ. ট্রেনিং নেই। সেখানে মূলত ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হতো এবং অস্ত্র ট্রেনিং ছাড়াও রাজনীতির ট্রেনিং হতো যেখানে ক্লাশ নিতেন হাসানুল হক ইনু, শরীফ নুরুল আম্বিয়া,  আ. ফ. ম. মাহাবুবুল হক সহ ছাত্রলীগের মধ্যে বিপ্লবী ধারার নেতৃবৃন্দ। আমরা ট্রেনিং শেষে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন আমাদের আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আখতার আহমদ।
খবর পাই মুক্তাদির হাফলং’এ ট্রেনিং নিয়ে ৪ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদীর নেতৃত্বে আটগ্রাম ব্রীজ, শেওয়া, জামালপুর, মোগলাবাজারসহ বিভিন্ন জায়াগায় দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করছে। দীর্ঘ নয় মাস জীবন বাজি রাখা যুদ্ধ স্বাধীনতার সূর্য উদয়ের পূর্ব মুহূর্তে ১১ ডিসেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জের দিক থেকে ম. আ. মুক্তাদির ১০/১৫ জনের দল নিয়ে শহর অভিমুখে আসতে দেখি। দীর্ঘ নয়মাস পর ম. আ. মুক্তাদিরকে দেখে তখন চেনা দায়। মুখ ভর্তি দাড়ি, লম্বা চুল। আমরা আবার একসাথে হয়ে সিলেট শহর এবং এ অঞ্চলে পাক হানাদার এবং তাদের দোসরদের নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস নেই। ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয়ের পতাকা উড়াই। এ ছিল অবিস্মরণীয় দিন।
এ পর্যন্ত স্মরণ করে রফিকুল হক থামেন। বলেন, ম. আ. মুক্তাদির সহ আমরা জানতাম পতাকা উঠালেই দেশ স্বাধীন হয়না। ১৬ ডিসেম্বর পরবর্তী অপারেশন ছিল ঘাতকদের নির্মূল করার। ম. আ. মুক্তাদির সে সময় ঘাতক, শান্তি বাহিনী আর রাজাকারদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। রফিকুল হক বলেন, ম. আ. মুক্তাদিরকে  এ কাজটি তখন করতে দেয়া হয়নি। কিছুদিন পরই টের পাওয়া গেলো ঘাতকদের নির্মূল না করার পরিণাম- বলে আবার থামলেন রফিকুল হক।
পরের ইতিহাস ম. আ. মুক্তাদিরের ক্রমাগত লড়ে যাওয়ার ইতিহাস। প্রাক যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়া মুক্তাদির তখন সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার এ লড়াইয়ে তখনকার কুয়াশা ঢাকা রাজনৈতিক বাস্তবতায় স্বপ্ন বিলাসী ম. আ. মুক্তাদির জনতার মুক্তির লড়াইয়ে নিজেকে বিলিয়ে দেন। আমি সহ আমরা সবাই মরহুম আখতার আহমদের নেতৃত্বে জাসদ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। সময়ের ব্যবধানে জাসদ রাজনীতির বিভক্তির কারণে ম. আ. মুক্তাদির বাসদ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যায়। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই সে বাসদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অংশীদার হয়।
তাঁর এ লড়াই আমৃত্যু থামেনি। জনতার সাথে থেকেই লন্ডনে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে হার্ট এটাকে। তাঁর মৃত্যুর পর অনেক সতীর্থ, সহযোদ্ধাদের বিলাপ শুনা গিয়েছিল। দেশে বিদেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এসব সতীর্থ, সহযোদ্ধারা তাদের নিত্যদিনের লড়াইয়ের চেতনায় ম. আ. মুক্তাদিরকে লালন করলেও তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্য কোন চর্চা ম্রিয়মান ছিল না।
২০১৬ সালে দেশে গিয়ে অকালে হারিয়ে যাওয়া বিপ্লবী ম. আ. মুক্তাদিরের স্মৃতি রক্ষায় আমি ম. আ. মুক্তাদির ট্রাস্ট গঠন করি। সুরমা পারের শান্ত সবুজ মাঠে প্রায় হারিয়ে যাওয়া কবর চিহ্নিত করে তাতে ফলক লাগানো হয়েছে। স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মহান বিপ্লবী ম. আ. মুক্তাদিরের স্মৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা। তাঁকে নিয়ে চর্চা করা, তাঁকে স্মরণ করা আমাদের স্বার্থেই প্রয়োজন বলে আমরা মনে করেছি। রাজনীতির আজকের ধসে পড়া বাস্তবতায় ম. আ. মুক্তাদির আমাদের কাজে দেদীপ্যমান হয়ে উঠেন। নীতি আর আদর্শের জন্য ব্যক্তিগত লোভ লালাসা ত্যাগ করে ন্যায় ভিত্তিক সমাজের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বস্ব দেয়া বিপ্লবী ম. আ. মুক্তাদিরের এ স্মৃতি রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন, সহযোগিতা করছেন তাঁর সতীর্থ, শুভানুধ্যায়ী, অনুরাগী, স্বজনরা। ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। আহবায়ক  ডাঃ মইনুল ইসলাম, সদস্যরা হচ্ছেন রফিকুল হক, লোকমান আহমদ, এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন, আব্দুল মান্নান, সাব্বির আহমেদ, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন এবং মহসীন আলী চুন্নু। উদ্যোগে সম্পৃক্ত হয়েছেন দেশ বিদেশের অনেকেই।
যে স্বপ্নচারী মানুষটি নিজের জীবন দিয়ে গেছেন অকাতরে, তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থেও এগিয়ে এসেছেন সমাজ নিয়ে ভাবিত অগ্রসর মানুষের এক ঝাঁক প্রতিনিধিরা। আমাদের যৌবনের স্বপ্নচারী ম. আ. মুক্তাদিরের স্মৃতি রক্ষার এ উদ্যোগের সাথে সমাজ সচেতন অগ্রসরজন এগিয়ে আসবেন, আরো সম্পৃক্ত হবেন, এ আমার বিনীত প্রত্যাশা।
১৪ সেপ্টেম্বর আসে, যায় বছরের পর বছর। ২০টি বছর চলে গেছে। ম. আ. মুক্তাদিরের নামে নিত্যদিন যে বেদনার হাহাকার উঠে, তা বয়ে বেড়াচ্ছি। যে লড়াইয়ে তাঁর হাত ধরে নেমেছিলাম, লড়াইতো আজো থামেনি। ভিন্ন বাস্তবতায়, অসাম্যের বিরুদ্ধে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামতো চলমান। এ চলমান লড়াইয়ে আদর্শবোধ জাগ্রত রেখে টিকে থাকার শিক্ষা দিয়েছিলেন ম. আ. মুক্তাদির। তাঁর ২০তম মৃত্যু দিবসে স্মৃতির প্রতি রক্তিম অভিবাদন।