সিন্টু রঞ্জন চন্দ
আর মাত্র দু’দিন পরই আসছে এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরী বিভিন্ন মার্কেট, বিপণী বিতান, শপিং মল ও রাস্তা-ঘাটে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। এছাড়া নগরীর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের হাসান মার্কেট ও হকার্স মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে ভিড় লক্ষণীয়। প্রতিটি মার্কেট ও শপিং মলগুলো সেজেছে আলোকসজ্জায়।
নগরীর বন্দরবাজার হাসান মার্কেট, হকার্স মার্কেট, জিন্দাবাজারের বøু-ওয়াটার শপিং সিটি, আল-হামরা শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিং মলে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছে আর দোকানে দোকানে তুলেছে বাহারী ডিজাইনের পোশাক।
নগরীর ফ্যাশন পাড়া হিসেবে পরিচিতি লামাবাজার, কুমারপাড়া ও নয়াসড়ক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনের বেলা ক্রেতাদের সমাগম তেমন একটা নেই। ব্যবসায়ীরা জানান, তুলনামূলক দিনের থেকে রাতের বেলা ক্রেতারা বেশী আসছেন। এর আগে করোনার প্রকোপে বিধিনিষেধ ছিল ঈদের বাজারে। ব্যবসা হয়নি বললেই চলে। তাই এবার করোনার সংক্রমণ কমে আসায় বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে সবকিছু। তাই বিগত ক্ষতিগুলো পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তিন বছর পর ব্যবসায় গতি ফিরে আসায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, নগরীর দর্জিপাড়ায় যেন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অর্ডার নেয়া। ফলে শেষ মুহ‚র্তে দর্জি দোকানে ছুটছেন ফ্যাশন প্রিয়রা। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জির দোকানগুলোতে। ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা ছুটছেন জিন্দাবাজারের শুকরিয়া, সিটি শপিংসিটি, কাজী ম্যাশনসহ বিভিন্ন মার্কেটের গড়ে ওঠা দর্জির দোকানে। আবার ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট তৈরির যোগান দিচ্ছে স্থানীয় নামকরা সব টেইলার্স। সাথে পাঞ্জাবি তৈরির দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের কাকলী শপিং সেন্টারের সভাপতি জাকারিয়া ইমরুল বলেন, এবার ঈদে বেচাকেনা ভালো আছে। তবে এখন রাতের বেলায় ক্রেতারা বেশী আসছেন। তিনি জানান, যেহেতু লাল-নীল বাতির রঙে প্রতিটি মার্কেট সাজানো হয়েছে তাই অনেকে পরিবার নিয়ে এই সৌন্দর্য দেখতে রাতের বেলা ভিড় জমান।
অপরদিকে, ঈদ বাজারকে নির্বিঘœ করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মার্কেট আর শপিং মলে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) সুদীপ দাস জানান, নগরীর প্রতিটি মার্কেটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। যাতে ক্রেতারা নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন।