ওসমানীনগর সংবাদদাতা
বালাগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সুমাইয়া বেগমের ভাই ইসকন্দর মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। নিহত সুমাইয়া বেগম উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নুরপুর হেকিম আলী গ্রামের আইন উল্যার কন্যা ও বাণীগাঁও এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নিহত সুমাইয়া বেগমের ভাই ইসকন্দর মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার বিকেলে বালাগঞ্জের নুরপুর গ্রাম সংলগ্ন খাল থেকে সুমাইয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্কুল ছাত্রীর লাশটি পাঠানো হয়। উদ্ধারকৃত লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ হত্যা করে ফেলে গেছে। স্কুল ছাত্রীর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত বা কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বের করার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, সুমাইয়া স্কুল ও প্রাইভেটের জন্য বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু দুপুরে সুমাইয়ার মা স্কুলে গিয়ে মেয়েকে পাননি। বার্ষিক মিলাদের দাওয়াত থাকায় স্কুলে গিয়েছিলেন তার মা।
এদিকে, স্কুল ছুটির পরও সুমাইয়া বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়রা নুরপুর গ্রাম সংলগ্ন খালের পাড়ে তার স্কুল ব্যাগ ও জুতা পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে খালের ঝোপ-ঝাড়ের ভেতরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় পুলিশকে খবর দিলে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।