হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নাহিদা আক্তার (২২) নামে দুই সন্তানের জননীর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। তবে নাহিদার পরিবারের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে থাকে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের অনন্তপুর (আত্তা পাড়ায) এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, নাহিদা আক্তার জলসুখার অনন্তপুর গ্রামের সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী সুরুজ আলী মিয়ার স্ত্রী ও সদর ইউনিয়নের শুক্রীবাড়ী গ্রামের জয়ফুরুল মিয়ার কন্যা। ঘটনার পর থেকে নাহিদার শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জলসুখার রাহিমুউল্যার ছেলে প্রবাসী সুরুজ আলীর সাথে বিয়ে হয় নাহিদা আক্তারের। তারপর তিন বছরের ব্যবধানে নাহিদার কোল জুড়ে আসে দুটি পুত্র সন্তান। বড় ছেলের বয়স ৩ বছর এবং দ্বিতীয় ছেলের বয়স ১১মাস। নাহিদার ননদের মেয়ের সাথে তার ভাসুরের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। নাহিদার ননদ ১৩ ডিসেম্বর রাতে ভাসুরের নিকট বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ে দিতে অপরাগতা করে ভাসুর। বিষয়টি জানার পর বুধবার সকালে প্রবাসে আত্মহত্যা করে নাহিদার ননদের পুত্র। এই জন্য নাহিদাকে দায়ী করে শশুর বাড়ীর লোকজন। বুধবার সকালে নাহিদার বাবাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি জানান নাহিদার শশুরবাড়ীর লোকজন। নাহিদার বাবা বাড়ি ফেরার আধা ঘন্টা পর জানতে পারেন নাহিদা আত্মহত্যা করেছেন।
তাদের এক আত্মীয় জানান, নাহিদার ভাসুরের কল পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে যাই তখন নাহিদাকে বিছানার উপর দেখতে পাই। তখন জানতে পারি নাহিদার শাশুড়ী তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়েছেন। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।