সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদাতা :
সুনামগঞ্জের ছাতকে বারকি শ্রমিক নিহত আবুল হোসেনের চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের আপন ভাই আলী হোসেনকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আর আগে গত মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী সবতুন বেগমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত স্ত্রী স্বেচ্ছায় আদালতে তার স্বামীর হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দির পর হত্যার রহস্য বের হয়ে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আবুল হোসেনের ভাই আপন আলী হোসেন, তার স্ত্রী সবতুন বেগম ও স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক সাবুল মিয়াসহ ১০-১২ জন মিলে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে হত্যা করে। পরে তার লাশ রোয়া হাওরের পাশে জঙ্গলে ফেলে দেয়। গত বুধবার বিকালে স্বামীর হত্যার দায় স্বীকার করে সুনামগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তার স্ত্রী সবতুন বেগম।
জানা যায়, উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে আবুল হোসেনকে ২১ অক্টোবর তার বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন। পরে আবুল হোসেন তার বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্ত্রী সবতুন বেগম এবং তার ভাই আলী হোসেনসহ আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। ঘটনার ২৪ দিন পর গত ১৫ নভেম্বর তার লাশ রোয়া হাওর এলাকার জঙ্গল থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেই লাশটি আবুলের বলে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় অবশেষে পুলিশ হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করে। পরে নিহত স্ত্রী সবতুন বেগম, তার ভাই আলী হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক সাবুল মিয়ার মুখোশ উম্মোচন করে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমিকা গ্রেফতারের পর প্রেমিক সাবুল মিয়া আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রী তার স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তার সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।