মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর পৌরসভার নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন পৌর ভবন দেখে পৌর নাগরিকরা আনন্দিত হয়েছেন। অত্যন্ত সুন্দর ডিজাইনে নির্মিত পৌর ভবনটি সবার নজর কেঁড়েছে। ব্যস্ততম পৌর পয়েন্টে গেলেই দেখা যায়, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন পৌর ভবনটি।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদে ছিল ৪নং জগন্নাথপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। বিগত ১৯৯৯ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ আবদুস সামাদ আজাদের প্রচেষ্টায় ৪নং সদর ইউনিয়নটি জগন্নাথপুর পৌরসভায় উন্নীত হয়। এ সময় প্রথম পৌর চেয়ারম্যান প্রয়াত হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার প্রচেষ্টায় স্থানান্তর হয়ে পৌর পয়েন্টের পাশে পৌর ভবন নির্মাণ হয়। যে কারণে ত্রিমুখি সড়কের নামকরণ হয়েছে পৌর পয়েন্ট।
অবশেষে বিগত ২০১৭ সালে সাবেক প্রয়াত মেয়র আলহাজ আবদুল মনাফের সময়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াইতলা নতুন পৌর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পৌর ভবন নির্মাণ কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতাউর রহমান খান। ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলে নির্মাণ কাজ। এ সময় অস্থায়ী পৌর কার্যালয়ের কার্যক্রম চলে সানলাইট আবাসিক হোটেলে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ভবনের প্রথম তলার কাজ শেষ হলে আবারো নির্মাণাধীন পৌর ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২১ সালে দ্বিতীয় তলা ভবনের কাজ শেষ হয় এবং বর্তমানে দ্বিতীয় তলায় পৌর মেয়রের নান্দনিক অফিস কক্ষে কার্যক্রম চলছে। চলতি ২০২২ সালে বাকি আধা তলার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন চলছে ফিনিশিং কাজ।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতাউর রহমান খান এর ঠিকাদার গোলাম কবির আহমদ চৌধুরী জানান, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঠিক গুণগত মান বজায় রেখে পৌর ভবনের নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নব-নির্মিত পৌর ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা কর্তৃপক্ষে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে দরপত্রের বাইরেও অনেক অতিরিক্ত কাজ করছি। এখন বাকি আধা তলার ফিনিশিং কাজ চলছে। আশা করছি, অচিরেই হস্তান্তর করা হবে।
১ মার্চ মঙ্গলবার পৌর পয়েন্টে চলাচলকারী পথচারী পৌর নাগরিকদের মধ্যে অনেকে বলেন, আমাদের পৌর ভবনটি খুবই সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এতে আমরা অনেক আনন্দিত হয়েছি। আমরাও চেয়েছিলাম এ রকম একটি পৌর ভবন। এখন আমাদের পৌর ভবন নিয়ে অন্য স্থানে গর্ববোধ করতে পারবো।