বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কের ৪ লেনের কাজের উদ্বোধনীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ ক্বীন ব্রীজের পাশে আরেকটি নতুন সেতু হবে

15
কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীকে চিরে দুই ভাগ করা ঐতিহ্যবাহী সুরমা নদীর উপর আরেকটি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কিন ব্রীজের পাশেই এই সেতু নির্মাণ করা হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটে কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কের ৪ লেনের কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রীজ অনেক পুরনো হয়ে গেছে। এটা রেখে ক্বীন ব্রীজের পাশে সুরমা নদীর উপর আরেকটা ব্রীজ করা হবে। এর পরিকল্পনা শেষ করে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। এতে যানজট নগরীর অনেকটা কমে আসবে।
নগরীর রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- এগুলো বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে সিলেট।
মন্ত্রী বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো সেই সড়ক দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে সহজেই পৌঁছাতে পারবে। এতে সিলেট নগরীর যানজট কমবে এবং কমে আসবে দুর্ঘটনা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, কুমারগাঁও-এয়ারপোর্ট সড়ক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ অনুমোদন পায়। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।
সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি বর্তমানে দুই লেনের। তবে সড়কটি বেহাল। প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৪ অর্থবছরে। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দর অভিমুখীদের সুবিধা এবং পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি ওঠে সিলেটে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সাথে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা। ২০১৯ সালের দিকে শুধুমাত্র চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু কাজের কাজ আর কিছুই হচ্ছিল না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। তবে এই সময়ের একটু হেরফের হতে পারে।
সড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধনের জন্য তেমুখী পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই সড়কের মইয়ারচর-সোনাতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রকল্পের সাইট অফিস ও শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতকারীরাও উপকৃত হবেন। বর্তমানে এ বিমানবন্দরটি দুই লেন বিশিষ্ট সংযোগ সড়কের মাধ্যমে সিলেট নগরীর সাথে যুক্ত। কিন্তু বিমানবন্দরটি বিকল্প সংযোগ সড়ক থাকা প্রয়োজন। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি আপগ্রেডেশন হলে এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ অনুমোদন পায়। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।