স্টাফ রিপোর্টার :
নিজ দলের বিজয়ী কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে জয় ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা জগদীশ চন্দ্র দাশ। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জগদিশ চন্দ্র দাশ এ অভিযোগ করেন। এবারের নির্বাচনে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জগদীশ তার ওয়ার্ডের ৩টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল ও ফলাফল স্থগিত করে ভোট পুন:গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে জগদিশ চন্দ্র দাশ অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঝুড়ি প্রতীকে ইলিয়াছুর রহমানের ভাই বুলবুল, হারুনরা জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বীরেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেয়। এ সময় তারা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও এজেন্টদের বের করে দিয়ে ইচ্ছেমত জাল ভোট প্রদান করে। তাৎক্ষণিকভাবে ইলিয়াছের ভাই বুলবুল ও হারুণকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। তবে এক ঘন্টা পরে তারা ছাড়া পেয়ে পুনরায় ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে।
জগদীশ আরো অভিযোগ করেন, ইলিয়াছ বাহিনী ভোটের দিন সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গণনাকালে একই কায়দায় বীরেশ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। তারা বেশকিছু কাগজপত্র নিয়ে পাশের ফাকা মাঠে ছিড়ে ফেলে। তখন পুলিশ বাধা দিলে ইলিয়াছ বাহিনী বিএনপি জামায়াত সমর্থকদের নিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্রের আতংক সৃষ্টি করে। দিনভর তার (জগদীশের) ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে জায়গায় জায়গায় বাধা প্রদান করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
৮নং ওয়ার্ডের অপর কেন্দ্র তারাপুরস্থ মদন মোহন কলেজের কমার্স ফ্যাকাল্টি কেন্দ্রে বেশিরভাগ ভোটার সংখ্যালঘু থাকা সত্ত্বেও তার ভোটরাদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা প্রদান করেন ইলিয়াছুর রহামন ও তার লোকজন।
তিনি আরো বলেন, ভোটারদের চড় থাপ্পর মেরে কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয় হয়। এজেন্টদেরও মারধর করা হয়। জগদীশ চন্দ্র দাশ রিটার্নিং অফিসারের কাছে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া পাঠানটুলা কেন্দ্র, বীরেশ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র ও পাঠানটুলা তারাপুরস্থ মনদ মোহন কলেজের কমার্স ফ্যাকাল্টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল ও ফলাফল স্থগিত করে ভোট পুন:গ্রহণের লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শংকর কুমার দেব, মো. জাহেদ মিয়া, শুধাভেন্দু চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান আকবর, ইসমাইল খান, চন্দন দাস, কমল রায়, মো. কাশেম মিয়া, খালেদ আহমদ, রাশেদ মিয়া, শিমুল পাল, মজিদ খানসহ ওয়ার্ডের শতাধিক বাসিন্দা।