কাজিরবাজার ডেস্ক :
তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর পৃথক করা হয় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে। প্রতিষ্ঠার পর ৩৬টি প্রকল্প গ্রহণ করে রেলওয়ে। লক্ষ্য ছিল সারাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা। কিন্তু গত ১১ বছরে রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের একটির কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। এর মধ্যে ১টি ফিজিবিলিটি স্টাডি ও দুটি রেলক্রসিং পুনর্বাসন প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হলেও বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে।
এছাড়া বিদ্যমান রেললাইন সংস্কার না করার কারণে গতি বাড়েনি যাত্রীবাহী ট্রেনের। পাথরবিহীন নড়বড়ে রেললাইনের কারণে ট্রেনে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই নতুন রেলপথ নির্মাণের পাশাপাশি পুরনো লাইনগুলো সংস্কারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জানা গেছে, বর্তমানে রেলওয়েতে ৩৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৩টি, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৩টি, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় ঋণে (এলওসি) ৬টি, চীনের অর্থায়নে ৩টি ও টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং ২টি। এছাড়া জাইকা, ডিআরজিও, ইডিসিএফ ও ভারতীয় সরকারের অনুদানে একটি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান।
খারাপ অবস্থা কোচ ও ইঞ্জিন ক্রয় প্রকল্পের : ইঞ্জিন ও কোচ সংকটের কারণে চাহিদা অনুসারে ট্রেন পরিচালনা করতে পারে না রেলওয়ে। বর্তমানে রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ৩৬৮। বাস্তবে চলছে ২৭৬টি। কোচ ও ইঞ্জিন সংকটের কারণে ৯২ ট্রেন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রেনের জন্যও ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে।
রেলওয়ের চাহিদার আলোকে ট্রেন পরিচালনার জন্য ৩-৪ হাজার কোচ দরকার। কিন্তু আছে ১ হাজার ৬৮৫টি। পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য ইঞ্জিন দরকার প্রায় ৬০০। কিন্তু আছে মাত্র ২৮৫টি। এর মধ্যে আবার অর্ধেকের বেশি ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে।
তাই কোচ, ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশের সংকট দূর করতে রেলওয়ে ৬টি প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু গত ১১ বছরে ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহের প্রকল্পের বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে। কঠিন শর্তের কারণে চুক্তি বাতিল হচ্ছে ঠিকাদার অর্থায়নের দুটি প্রকল্পের।
এছাড়া ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ন প্রকল্পের তিন বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। নিজস্ব অর্থায়নে ২৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৯ সালের ১ জুলাই।
রেলওয়ে অপারেশন যন্ত্রাংশ রোলিং স্টক সংগ্রহের জন্য ২০১৭ সালের ১ জুলাই এডিবির অর্থায়নে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ৭ লাখ টাকা। কিন্তু গত ৫ বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ২৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ এবং ১৫০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৭ সালের ১ জুলাই। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে ২০টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) উত্তর কোরিয়া থেকে সংগ্রহ করা হলেও ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচ এখনও এসে পৌঁছায়নি। গত জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তা আরও দুই বছর বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ‘রেলওয়ে কোচ ও ইঞ্জিন সংকট সমাধানে প্রকল্প নেয়া আছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে অর্থায়ন সংকটের কারণে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আশা করি ইঞ্জিন ও কোচের সংকট কিছুটা সমাধান হবে।’
প্রকল্প নেয়ার ১১ বছর পর চুক্তি বাতিল : রেলওয়ের জন্য ৭০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেক্ট্র্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১১ সালের ১ জুলাই। ডিপিপি একদফা সংশোধন করে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১১ বছরে প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। এই প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং বাস্তবায়নের জন্য কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে। কিছু কঠিন শর্তের কারণে গত আগস্টে চুক্তিটি বাতিল করেছে রেলওয়ে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাহবুব চৌধুরী বলেন, ‘কঠিন কিছু শর্তের কারণে গত আগস্টে কোরিয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং পরিবর্তে সফট লোনে বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা চলছে।’
অপর প্রকল্প ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ। টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং প্রকল্পটি নেয়া ২০১৬ সালের ১ জুলাই।
২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ৬ বছরে প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে একটি ঋণচুক্তি হয়েছিল। কিন্তু শর্তের কারণে তাও বাতিল করা হয় বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে রেলওয়ের ডিজি ধরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ‘টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং প্রকল্প দুটি দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন না করার কারণে বাতিল করা হয়েছে। এখন অন্যভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে ধীরগতি : রেলওয়ে মেগা প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ। প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ২০১০ সালের ১ জুলাই। ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথাছিল। কিন্তু ১২ বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।
চার দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পটির। গত ১১ বছরে এই প্রকল্পে কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে। ২০১১ সালের ১ জুলাই প্রকল্পটি নেয়া হয়। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
তিন দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যয় ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি করা হয়েছিল রেলপথটি। এ রেলপথ দিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করা হতো। ২০০২ সালে এই রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়। ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটে অন্তর্ভুক্তির জন্য রেলপথটি পুনর্নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়।
প্রকল্পের ধীরগতি বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চলতি বছরের জুনে রেলওয়ের অনেক প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে। মহামারীর কারণে যেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল সেখানে প্রকল্পের কাজ কিভাবে হয়। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ব্যয় বাড়ানো হয়নি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় চলে গেছে। তাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জমি বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়েছে। এছাড়া করোনার কারণে গত দুই বছরে প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়নি। তাই প্রকল্পে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ধীরগতির কারণে সঠিক সেবা মিলছে না : সারাদেশে রেলপথ উন্নয়নে ঋণদাতা সংস্থার অর্থায়নে মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ৯১ হাজার ১৯১ কোটি ২২ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন দাতা সংস্থা। বাকি ৫০ হাজার ৫০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা সরকারি ফান্ড থেকে ব্যয় হবে। প্রকল্পের ধীরগতির কারণে ঋণের সুদের পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়া প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাধারণত প্রকল্পের প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি সময় লাগলে অর্থনীতির কয়েকটি ক্ষতি হয়। এর মধ্যে- ১. দীর্ঘ সময় ধরে প্রকল্প চলমান থাকলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এতে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ২. অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। যেমন- যাত্রী ও ভোক্তাদের প্রকল্পের সেবা পেতে বিলম্ব হয়। ৩. প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার কারণে ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়ে যায়। তখন সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে সেবা দিতে হয়।
মূল কথা হলো- ‘সারাদেশের রেলপথ উন্নয়নে সরকার নজর দিয়েছে এটা ভালো লক্ষণ। কারণ গত ৪০ বছরে রেলওয়েতে তেমন বিনিয়োগ হয়নি। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে রেলের সেবা দেয়া কঠিন হবে। সারা পৃথিবীতে রেল একটি সাশ্রয়ী পরিবহন মাধ্যম। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে সড়কের ওপর চাপ কমবে।’ রেলের উন্নয়নে সরকারের এ সব পরিকল্পনা ভালো বলে মনে করেন তিনি।
তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে ভোক্তা, উৎপাদক, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে ঋণ পরিসেবার দায়ভার বাড়বে, ঋণের দায়ভার বাড়ে ও ভোক্তারা সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ।
বিদ্যমান পুরনো লাইন সংস্কারের প্রকল্প নেই : নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও পুরনো রেলপথ সংস্কারের তেমন কোনো প্রকল্প নেই। পাথরবিহীন নড়বড়ে রেললাইনের কারণে ট্রেনে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই নতুন রেলপথ নির্মাণের পাশাপাশি পুরনো লাইনগুলো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক বলেন, ‘রেলওয়েতে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে নজর বেশি।
কিন্তু ব্রিটিশ আমলের পুরনো রেলপথ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি নজর কম। তাই ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও সেতুতে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। অন্যান্য দেশ যেখানে দিন দিন রেলওয়ের গতি বাড়াচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।’ শুধু নতুন প্রকল্প নিলে হবে না পুরনো রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।